রাজাকার প্রজন্মকে চাকরি দিতে নীতিমালা অনুসরণের সুপারিশ
১৩ জুন ২০২১ ২২:৪৭ | আপডেট: ১৪ জুন ২০২১ ০৩:০৩
ঢাকা: পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা সংগ্রহ ও চিহ্নিত রাজাকারের পরবর্তী প্রজন্মকে সরকারি চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুসরণের সুপারিশ করেছে মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সংসদীয় কমিটি।
রোববার (১৩ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের ‘মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম), কাজী ফিরোজ রশীদ, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এবং মোছলেম উদ্দিন আহমদ অংশ নেন।
সংসদ সচিবালয় জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের বোর্ড সভায় প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনাগুলো অবহিতকরণ, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচি এবং পরিকল্পনা এবং মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের চট্টগ্রামে অবস্থিত ‘টাওয়ার ৭১’ ও ‘জয়বাংলা’ বাণিজ্যিক ভবনের কাজের সর্বশেষ অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধোদের পুনর্বাসন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে গঠিত ‘মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ফান্ড’র তহবিল গঠনে কোন কোন উৎসকে প্রতিষ্ঠার সময়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল মন্ত্রণালয়কে তার বিবরণী আগামী বৈঠকে বিস্তারিতসহ উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত হাসপাতালের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করাসহ ওষুধ খরচ বাবদ নির্ধারিত ৫০ হাজার টাকা উন্নীত করে ৭৫ হাজার টাকায় নির্ধারণ এবং বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালগুলোতে শতভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিনামূল্যে করা বিষয়ক সংশোধিত নীতিমালাটি আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। পাশাপাশি বৈঠকে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে অনুষ্ঠান নির্ধারণের লক্ষে সভাপতিকে আহবায়ক করে মোট ছয় সদস্যের একটি সংসদীয় সাব-কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়া কিছু জায়গায় বিভিন্ন দিবসে স্বাধীনতা বিরোধীদের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন সম্পর্কিত ঘটনার সমাধানের লক্ষ্যে সমস্যার বিবরণী তুলে ধরে একটি সারসংক্ষেপ কেবিনেটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত বৈঠকে গৃহীত হয়। আর শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গার্ড অব অনার প্রদানের ক্ষেত্রে দিনের বেলায় আয়োজন করা এবং নারী ইউএনওর বিকল্প ব্যক্তি নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম