Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার কর্ণফুলীর জিএম, মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১০ জুন ২০২১ ১৮:৫৯ | আপডেট: ১০ জুন ২০২১ ১৯:১৩

চট্টগ্রাম ব্যুরো: অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার মামলায় সাবেক-বর্তমান দুই কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন চট্টগ্রামের কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসময় তারা অবিলম্বে গ্রেফতার দু’জনের মুক্তি দাবি করেন।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সকালে নগরীর আগ্রাবাদ থেকে এই দু’জনকে গ্রেফতার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরা হলেন— কেজিডিসিএল’র মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং ও সার্ভিসেস) মো. সারওয়ার হোসেন ও সাবেক ব্যবস্থাপক মজিবুর রহমান। দুপুরে আদালতে হাজিরের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

বিজ্ঞাপন

এর প্রতিবাদে বিকেলে নগরীর ষোলশহরে কেজিডিসিএল অফিসার অ্যাসোসিয়েশেন ও সিবিএ বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সমাবেশে কেজিডিসিএল সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক মো. আসলাম বলেন, ‘কাজ করতে গেলে ভুলত্রুটি হতে পারে। কিন্তু যে দু’জন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা অত্যন্ত সৎ। তাদের কাজের কারণে কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। সরকারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। শুধু সামান্য ভুলত্রুটির কারণে তাদের গ্রেফতার করে হয়রানি করা হচ্ছে। এভাবে হয়রানি করা হলে কেউ আর কাজ করবে না। বেতন নিয়ে সবাই ঘরে বসে থাকবে। এতে চট্টগ্রামবাসী তাদের প্রাপ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হবে। আমরা অবিলম্বে দুই কর্মকর্তার মুক্তি দাবি করছি।’

আরও পড়ুন- সাবেক মন্ত্রীপুত্রকে অবৈধ গ্যাস সংযোগ, জিএমসহ গ্রেফতার ২

উল্লেখ্য, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে মুজিবুর রহমানকে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ স্থানান্তর ও নতুন সংযোগ দেওয়ার অভিযোগে বুধবার চট্টগ্রামে দুদক একটি মামলা দায়ের করে। দুদকের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১-এর উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

মামলায় গ্রেফতার দু’জনসহ মোট পাঁচ জনকে আসামি করা হয়। বাকি তিন আসামি হলেন— কেজিডিসিএলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, টেকনিশিয়ান দিদারুল আলম ও অবৈধভাবে সংযোগ পাওয়া গ্রাহক মুজিবুর রহমান।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নগরীর হালিশহর এলাকার বাসিন্দা এম এ সালাম নামে এক গ্রাহকের (বতমানে মৃত) নামে বরাদ্দ দেওয়া ১৮টি অব্যবহৃত দ্বৈত চুলার সংযোগ ছিল। এর থেকে ছয়টি দ্বৈত চুলা রেখে বাকি ১২টি দ্বৈত চুলা নগরীর চান্দগাঁও সানোয়ারা আবাসিক এলাকার গ্রাহক মুজিবুর রহমানের নামে স্থানান্তর করা হয়। মৃত সালামের স্ত্রী নুরজাহান সালামের নামে ভুয়া চুক্তিনামা সৃজন করে সেগুলো স্থানান্তর করা হয়। মৃত সালাম ও মুজিবুর রহমানের গ্রাহক সংকেত আলাদা। এ অবস্থায় সংযোগ স্থানান্তরের কোনো আইনি বৈধতা নেই।

এছাড়া ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ থাকলেও এই সিদ্ধান্ত অমান্য করে আরও ১০টি সংযোগ দেওয়া হয় মুজিবুর রহমানের নামে সানোয়ারা আবাসিক এলাকায়। ২০১৭ সালের ২ মার্চ থেকে পরের বছরের ২ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে এসব সংযোগ দেওয়া হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এ হিসেবে ভুয়া আবেদনপত্র সৃজনের মাধ্যমে গ্রাহক মুজিবুর রহমানের নামে মোট ২২টি অবৈধ সংযোগ দেওয়া হয়।

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

কর্ণফুলী গ্যাস জিএম গ্রেফতার টপ নিউজ মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ