Friday 24 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পাপুলের বোনের রিট খারিজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৮ জুন ২০২১ ১৩:২৭

ঢাকা: লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপনের বৈধতা এবং ওই আসনটিতে উপ-নির্বাচনের তফসিলের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্টে।

মঙ্গলবার (৮ জুন) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

এর আগে গতকাল (৭ জনু) এ রিটের শুনানি শেষে আজ আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল।

গত মার্চ মাসে লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনকে চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছিল। রিটে সংসদ সচিবালয়ের সচিব ও নির্বাচন কমিশনকে রিটে বিবাদী করা হয়।

গত ২৮ জানুয়ারি ঘুষ লেনদেনের মামলায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ শহিদ ইসলাম পাপুলকে ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন কুয়েতের ফৌজদারি আদালত। বিচারক রায়ে পাপুলকে দণ্ডের পাশাপাশি ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার বা ৫৩ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।

এরপর গত ২২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের লেজিসলেটিভ উইং থেকে লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে গত ৩ মার্চ শহিদ ইসলাম পাপুলের শূন্য আসনে (লক্ষ্মীপুর-২) উপ-নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর-২ আসন শূন্য ঘোষণা ও উপনির্বাচনের তফসিলের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে পাপুলের বোন নুরুন্নাহার বেগম এবং ওই আসনের বাসিন্দা পাপুলের মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবকারী শাহাদাত হোসেন রিট করেন। গত মার্চ মাসে এই রিট দায়ের করা হয়।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুসারে ১১ এপ্রিল ওই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে আগামী ২১ জুন নির্ধারণ করা হয়।

কুয়েতে গ্রেফতার হওয়ার পর দেশেও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের পৃথক দুই মামলায় সাংসদ শহিদসহ ৬ জনের ৬৭০টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার আদালত। মানব পাচার ও অর্থ পাচারের অভিযোগে শহিদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর মামলা করে সিআইডি। আসামিদের মধ্যে তার মেয়ে, ভাই ও শ্যালিকাও রয়েছেন। এর আগে ১১ নভেম্বর মানব পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে শহিদ ও তার স্ত্রী সেলিনার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের বাসা থেকে আটক করা হয় পাপুলকে। আটকের সাড়ে সাত মাসের মাথায় কুয়েতের আদালতে দণ্ডিত হন কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল।

 

সারাবাংলা/কেআইএফ/এএম

টপ নিউজ শহিদ ইসলাম পাপুল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর