চা বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় রফতানি পণ্য: বাণিজ্যমন্ত্রী
৪ জুন ২০২১ ১৮:৩২
ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, চা বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় রফতানি পণ্য। নতুন জাত উদ্ভাবন করে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। চায়ের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসুচি গ্রহণ করেছে। বিদেশে বাংলাদেশের চায়ের বিপুল চাহিদা রয়েছে। চায়ের উৎপাদন বাড়িয়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা সম্ভব।
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় চা দিবস’ পালন করা হলো। শুক্রবার (৪ জুন) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই দিবসের উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে বর্তমান সরকার চা শিল্পের বিকাশে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার কারণে বাংলাদেশ এখন চা রফতানি করতে পারছে। প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়েছে, এখন গ্রামের মানুষও নিয়মিত চা পান করেন।
তিনি বলেন, ২০২০ সালে উৎপাদন ছিল ৮৬.৩৯ মিলিয়ন কেজি, আর রফতানি হয়েছে ২.১৭ মিলিয়ন কেজি চা। আর ২০১১ সালে দেশের মোট চা উৎপাদন হতো মাত্র ৫৯.১৩ মিলিয়ন কেজি।
প্রথম বাঙালি হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণ ছিল একটি ঐতিহাসিক বিষয়- উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৫৭ সালের ৪ জুন বঙ্গবন্ধু চা বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছিলেন। সরকার এই দিনটিকে জাতীয় চা দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বঙ্গবন্ধু চা বোর্ডের চেয়াম্যানের দায়িত্ব নিয়ে চা শিল্পের ব্যাপক উন্নয়ন এবং চা শ্রমিকদের কল্যাণে অনেক কাজ করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতার বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে চা উৎপাদন বৃদ্ধির নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ১৯৯৬ সালে দেশের উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়ে চা উৎপাদন শুরু হয়েছে। সেখানে চা উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, সেখানে চা উৎপাদন করে চাষীরা লাভবান হচ্ছেন। ঠাকুরগাঁও লালমনিরহাটেও চা উৎপাদন বাড়ছে। এখানে সমতল ভূমিতেও চা উৎপাদন হচ্ছে এবং দিন দিন চা উৎপাদন বাড়ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, চা শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকরা অনেক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। দেশে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধির আরও সুযোগ রয়েছে। চা শিল্পের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিলে চা উৎপাদন বাড়বে। এতে চা শিল্প আরও বিকশিত হবে।
বাণিজ্ সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদ্য পিআরএল-এ যাওয়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম। এছাড়া এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশীয় চা সংসদের সভাপতি এম শাহ আলম, টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের সভাপতি শাহ মঈন উদ্দীন হাসান উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ