Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উপাচার্যদের বিরুদ্ধে ইউজিসি’র সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি টিআইবির

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১ জুন ২০২১ ১৮:১৮ | আপডেট: ১ জুন ২০২১ ২৩:০৬

ঢাকা: দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। ইউজিসি’র এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

মঙ্গলবার (১ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এই উদ্বেগের পাশাপাশি আশঙ্কা করা হয়েছে, ইউজিসির সুনির্দিষ্ট সুপারিশ বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনীহার যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা দুর্নীতি-অনিয়মের যোগসাজশের ইঙ্গিত দিচ্ছে। সামগ্রিকভাবে এটি সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, জবাবদিহিতার অভাব ও বিচারহীনতার সংস্কৃতিরই প্রতিফলন।

বিজ্ঞাপন

টিআইবি মনে করছে, এমন পরিস্থিতি দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। দেশের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ও জাতীয় জীবনে এর সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এই চিত্রকে অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক ও আত্মঘাতী অভিহিত করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষাদান, গবেষণা ও জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার পরিবর্তে একশ্রেণির সুবিধাভোগী তথাকথিত দলদাস শিক্ষকদের কারণে দলীয় লেজুড়বৃত্তি রাজনীতির স্বার্থ রক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিক্ষাগত যোগ্যতার বদলে রাজনৈতিক পরিচয় ও সম্পৃক্ততা নিয়োগের অন্যতম বিবেচ্য হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে বলে যে অভিযোগ রয়েছে, তা সরাসরি নাকচ করে দেওয়া যাচ্ছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্যসহ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে এমনসব ব্যক্তিকে পদায়ন ও নিয়োগ দিয়েছে যারা উচ্চ শিক্ষার পরিবেশ নয়, বরং ক্ষমতাসীন দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও দলীয় নেতাকর্মীদের সুযোগ-সুবিধার নিশ্চয়তা বিধানে সচেষ্ট থাকেন।

বিজ্ঞাপন

তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অভিযুক্ত একজন উপাচার্যকেও ন্যায়বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে অন্য উপাচার্যরাও অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার সাহস করতেন না বলে মনে করছেন টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, জবাবদিহিতা ও শাস্তির অভাবে উপাচার্যদের একাংশ কোনো ধরনের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে স্বেচ্ছাচার মনোবৃত্তির ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দুর্নীতির নিত্য-নতুন ধরন সম্পর্কে আমরা অবগত হচ্ছি। এ ব্যাপারে কারো কোনো মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না! সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিরও কোনো বালাই নেই! এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ জরুরি।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কোনো উপাচার্যের বিরুদ্ধে ২৫টি, কারও বিরুদ্ধে ৪৫টি পর্যন্ত অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তা সত্ত্বেও দুর্নীতি দমন কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে, যা হতাশাব্যঞ্জক। শিক্ষা উপমন্ত্রী অভিযোগ প্রমাণসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ দুদকের কাছে পাঠানোর যে কথা বলেছেন, সে অনুযায়ী ব্যক্তির সামাজিক অবস্থান, রাজনৈতিক পরিচয় নির্বিশেষে ও কোনো ধরনের চাপের কাছে নতি শিকার না করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করবে বলে টিআইবি প্রত্যাশা করছে। এক্ষেত্রে সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক সদিচ্ছার কোনো বিকল্প নেই বলেও মনে করছে সংস্থাটি।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

ইউজিসি উপাচার্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ টপ নিউজ টিআইবি

বিজ্ঞাপন

লস অ্যাঞ্জেলসে দাবানল, নিহত ৫
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৪৩

আরো

সম্পর্কিত খবর