Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মিতু হত্যা: জবানবন্দির পর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় মুসার স্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১ জুন ২০২১ ১৫:৫২ | আপডেট: ১ জুন ২০২১ ১৮:২৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সাবেক পুলপশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন পান্না আক্তার। তিনি ঘটনার পর থেকে ‘রহস্যজনকভাবে’ নিখোঁজ কামরুল ইসলাম শিকদার মুসার স্ত্রী।

মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামে রাঙ্গুনিয়া থানায় জিডি করেন পান্না আক্তার। সোমবার (৩১ মে) তিনি মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দেন।

বিজ্ঞাপন

মিতুকে খুনে নেতৃত্বদাতা হিসেবে অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম শিকদার মুসার বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মধ্যম ঘাগড়া গ্রামে। তিনি সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের ‘সোর্স’ ছিলেন।

আরও পড়ুন- মিতু হত্যা: সেই মুসার স্ত্রীর জবানবন্দি

জিডির বিষয়ে জানতে চাইলে পান্না আক্তার সারাবাংলাকে বলেন, ‘২০১৬ সালের খুনের পর আমার স্বামীকে যখন নিয়ে যাওয়া হয়, এরপর থেকে আমি অনেক হুমকি পেয়েছি। কে বা কারা হুমকি দিয়েছে, সেটা জানি না। গতকাল (সোমবার) আমি বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে আদালতে জবানবনন্দি দিয়েছি। এজন্য নিরাপত্তা আশঙ্কায় থানায় জিডি করেছি।’

রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মিল্কি সারাবাংলাকে বলেন, ‘উনি (পান্না) গতকাল (সোমবার) চাঞ্চল্যকর একটি মামলায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এজন্য কেউ উনার ক্ষতি করতে পারে, এমন আশঙ্কা করে জিডি করেছেন।’

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

হত্যাকাণ্ডের পরের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন প্রথম এই খুনে বাবুলের জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেন।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাত ঘুরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার তদন্তভার পড়ে পিবিআইয়ের ওপর। এরপর আস্তে আস্তে জট খুলতে থাকে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টিকারী চাঞ্চল্যকর এই মামলার।

গত ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের লক্ষ্যে ১২ মে ওই মামলার ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই।

একইদিন (১২ মে) দুপুরে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আট জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বাকি সাত আসামি হলেন— মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু, মো. সাইদুল ইসলাম সিকদার সাক্কু এবং শাহজাহান মিয়া।

ওই দিনই বাবুল আক্তারকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে জবানবন্দি দেননি বাবুল আক্তার।

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

এসপি বাবুল কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা টপ নিউজ মাহমুদা খানম মিতু মিতু হত্যা মুসার স্ত্রী পান্না আক্তার

বিজ্ঞাপন

৭ বছর পর মা-ছেলের সাক্ষাৎ
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩৮

আরো

সম্পর্কিত খবর