মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার, স্বামীর মাথা কেটে লেকে ফেলেন স্ত্রী
১ জুন ২০২১ ০০:১৫
ঢাকা: কি নির্মম দৃশ্য! স্ত্রী নিজেই স্বামীকে হত্যা করে। এরপর মাথা কেটে ব্যাগে ভরে বনানীর লেকে ফেলে আসেন। ফিরে এসে দুই হাত ও দুই পা শরীর থেকে আলাদা করে ফেলে। দুই পা ও দুই হাত ব্যাগে মুড়িয়ে নিজেই রিকশা করে মহাখালী বাস টার্মিনালে এনা পরিবহনের সামনে রেখে আসে। আর গলা থেকে ঊরু পর্যন্ত খণ্ডিত অংশটি বস্তায় ভরে ড্রামে করে বনানী থানাধীন মহাখালী কাঁচা বাজারের পাশে ফেলে দেয়।
প্রথমে বনানী থানা পুলিশ রোববার (৩০ মে) রাত ১১ টার দিকে মহাখালী কাঁচা বাজার থেকে খণ্ডিত মরদেহটি উদ্ধার করে। এরপর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল পুলিশ রাত ১টার দিকে মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে দুই হাত ও দুই পা উদ্ধার করে। রাতেই মরদেহের টুকরোগুলো মিলিয়ে দেখা হয়। তার আঙ্গুলের ছাপ থেকে পুলিশ নিশ্চিত হয় নিহতের নাম নয়ন মিয়া। তার বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জে। রাজধানীতে তিনি সিএনজি চালাতেন। প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ঢাকায় থাকতেন। তার আরও এক স্ত্রী আছে, থাকেন কিশোরগঞ্জে।
গোয়ান্দা পুলিশের খুনের রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা প্রথম স্ত্রীকে। পুলিশ সোমবার (৩১ মে) দিনভর মরদেহের মাথা খুঁজেছে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রথম স্ত্রী নয়নকে হত্যার কথা স্বীকার। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বনানী লেকের ১১ নম্বর ব্রীজের কাছে লেক থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
পুরো ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, এটি জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। স্ত্রী নিজে তার স্বামীকে হত্যা করেছেন। এরপর মরদেহ টুকরো টুকরো করে তা বিভিন্ন স্থানে ফেলে দিয়েছেন।
কেন এরকম একটি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন সেটাও আবার স্ত্রী হয়ে? জানতে চাইলে হারুন রশীদ বলেন, গ্রেফতার হওয়া নয়নের স্ত্রী বলেছেন— তাকে না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করা, সংসারের টাকা না বলে দ্বিতীয় পরিবারে দেওয়া এবং স্ত্রীকে নির্যাতনের ক্ষোভ থেকেই এরকম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
হারন রশীদ বলেন, তবে নয়নের স্ত্রী যাই বলুক না কেন? পুলিশ এর গভীরে ঢুকে তদন্ত করছে। যাই ঘটে থাকুক না কেন আসল সত্যটা বেরিয়ে আসবে। এর পেছনে আরও কেউ জড়িত আছে সেটাও বের করা হবে তদন্তে।
নয়নের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ।
সারাবাংলা/ইউজে/এনএস