ছাত্র অধিকারের ৫৪ জন আটক: প্রধান বিচারপতিকে জাফরুল্লাহর চিঠি
৩১ মে ২০২১ ২১:২৯ | আপডেট: ১ জুন ২০২১ ০১:৫১
ঢাকা: ছাত্র অধিকার পরিষদের আটক ৫৪ নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সোমবার (৩১ মে) সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ আবেদন করেন তিনি।
পরে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্ট হলো জনগণের জন্য একটা উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ। সেখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে গেটে তালা লাগিয়ে তারা ভুল করছেন। হাইকোর্টের দরজা কখনো বন্ধ হতে পারে না। জনগণের বিচারের জায়গা এটি, ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। আমি বলেছি, আপনারা যদি আমাকে ঢুকতে না দেন, দরকার হলে সারারাত আমি ওই গেটে বসে থাকব। আমি মুক্তিযোদ্ধা, কখনো পেছাতে শিখেনি। জয় নিয়েই ফিরব। জয় নিয়েই ফিরেছি।
এর আগে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মাজার গেটে আসেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর, মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজীজ উলফাত, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। সেখানে তাদেরকে বাধা দেওয়া হয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক অবস্থান করার পর তাদের সাতজনকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের শ্রদ্ধা রয়েছে, সেটি টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব আপনাদের। আমরা ১৮ জন ব্যক্তি একটা দরখাস্ত করেছিলাম। সেখানে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার সব ছাত্রের জামিন চেয়েছিলাম। আজকে তিন মাস হয়ে গেছে জামিন হয় না। তবে সৌভাগ্যের বিষয় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের সাত দিনের মধ্যে জামিন হয়ে গেল। রোজিনার তথা কথিত অপরাধের চেয়েও ছাত্রদের অপরাধ কম। তাদের (ছাত্রদের) অপরাধ, তারা একটি ঘৃণ্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধিক্কার দিয়েছে। এ কারণে তাদেরকে জেলে দিয়েছে। এই ছাত্রদের জামিন না দেওয়ার থেকে বড় অন্যায় আর কি হতে পারে। এই কথাগুলো প্রধান বিচারপতিকে জানাতে এসেছিলাম। ওনি (প্রধান বিচারপতি) আজকে অফিসে নাই। ওনার প্রতিনিধি রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জানালাম। আমরা বিচারে হস্তক্ষেপ নয়, আবার দীর্ঘ সূত্রিতাও চাই না। জেলা কোর্টে এই মামলাটা আছে, তারা যেন সেখানে রায় দেয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মার্চ মতিঝিলে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের সংঘর্ষের ঘটনায় মতিঝিল থানায় প্রথম মামলা হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আসার প্রতিবাদে করা বিক্ষোভকালে ওই সংঘর্ষ হয়। এরপর গত ২৭ মার্চ প্রেসক্লাবের সামনে ধস্তাধস্তির ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়। উভয় মামলায় সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের আসামি করা হয়। এ মামলায় বেশ কয়েকবার জামিন চেয়ে জামিন না মেলায় প্রধান বিচারপতির কাছে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করেন তারা।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস
৫৪ নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি ছাত্র অধিকার পরিষদ টপ নিউজ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সুপ্রিম কোর্ট