Sunday 12 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেশে ২৬৩ জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে ৪ বিদেশি ভ্যারিয়েন্ট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৩০ মে ২০২১ ১৯:৩৭

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমিত ২৬৩টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৫ জনের নমুনায় সাউথ আফ্রিকান, ২৩ জনের ভারতীয়, ২৭ জনের ইউকে এবং পাঁচজনের দেহে নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে।

রোববার (৩০ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত করোনা বিষয়ক বুলেটিনে এসব তথ্য জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘সারাদেশ থেকে এ পর্যন্ত ২৬৩টি জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে। তার মধ্যে ২৭টি ইউকে ভ্যারিয়েন্ট, ৮৫টি সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট, পাঁচটি নাইজেরিয়ান ভ্যারিয়েন্ট এবং ২৩টি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। বি.১.৬.৭ এটি ভারতফেরত এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে পেয়েছি আমরা।’

ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, ‘করোনার ভ্যারিয়েন্ট কোনো নতুন বিষয় নয়। যত জিনোম সিকোয়েন্স করা হবে তত ধরনের ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হবে। নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের আবির্ভাব হবে। ভ্যারিয়েন্ট যাই হোক না কেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। যত রোগী শনাক্ত হবে, সংক্রমণ হবে, নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাবে। সুতরাং ভ্যারিয়েন্ট যা-ই হোক না কেন, আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যার যখন সময় আসবে, তাকে ভ্যাকসিন নিতে হবে। এভাবে আমরা সংক্রমণ কমাতে পারবো। করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে যতটুক সম্ভব ঘরের মধ্যে অবস্থান করতে হবে। ঘরের বাইরে বের হলে সঠিকভাবে মাস্ক পরতে হবে। সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সাবান পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক তাহমিনা বলেন, ‘এটি আমের মৌসুম। আম পচনশীলও। অনেক পরিবার আমের বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল। তাই এই মৌসুমে আম কেনা-বেচা করতে হবে। সেক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাগান থেকে আম কেনা-বেচা নিশ্চিত করতে হবে। বাজারজাত করার ক্ষেত্রে স্বল্প পরিসরে খোলা জায়গায় বিক্রি করতে হবে। অনলাইন শপিংয়ে মাধ্যমে আম কেনা-বেচা নিশ্চিত করতে হবে।’

সারাবাংলা/এসবি/একে

করোনা কোভিড-১৯ টপ নিউজ নভেল করোনাভাইরাস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর