Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এনআইডি সেবা অন্য দফতরে গেলে ইসির ক্ষমতা ক্ষুন্ন হবে: সিইসি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩০ মে ২০২১ ১৮:২৮ | আপডেট: ৩০ মে ২০২১ ১৯:৩৭

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশনের কাছে থাকা উচিত। এটি সরকারের অন্য দফতরে গেলে জটিলতা তৈরি হবে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা ক্ষুণ্ণ হতে পারে।

রোববার (৩০ মে) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘সরকারের এই বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। কমিশন বা কমিশন সচিবালয়ের সচিবের সঙ্গে আগে বিষয়টি নিয়ে কখনও আলোচনা করাও হয়নি। আমাদের থেকে কোনো পরামর্শও নেওয়া হয়নি।’

বিষয়টি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। এটি একটি একটি জটিল কাজ। চিঠি দিলেই এটি হয়ে যাবে তা সম্ভব নয়। কারণ এরসঙ্গে অবকাঠামো, জনবলসহ অনেক কিছুই জড়িত রয়েছে।’

কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘আমাদের যুক্তি হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলে কোনো সমস্যা নেই। বরং আমাদের মাধ্যমেই সবাই ভালো সার্ভিস পাচ্ছেন। তারপরও সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি বা চিন্তা-ভাবনা কী আছে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বা সরকারের অন্যান্য পর্যায়ে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করা হবে।’

‘এনআইডি’ নির্বাচন কমিশনের একটি প্রোডাক্ট উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা মনে করি জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকা উচিত। নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা তৈরি করার ভিত্তিতেই জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছে। ভোটার তালিকার বাই-প্রডাক্ট হিসেবে এনআইডি হয়েছে, অন্য কোনো বিভাগ বা ডিপার্টমেন্ট এনআইডি করেনি। ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা তৈরির উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশন কাজ করতে গিয়ে বাই-প্রডাক্ট হিসেবে এটি এসেছে। ফলে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আমাদের আলাদা কোনো এফোর্ড দিতে হয়নি। ডাটাবেজের মাধ্যমেই জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করা হয়।’

বিজ্ঞাপন

তবে এনআইডি সরকারের অন্য দফতরে গেলে আইনগত জটিলতা হবে না মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘আইনগত কোনো জটিলতা হলে সরকার আইন প্রণয়ন করে তার সমাধান করতে পারবে। বিদ্যামান আইনি জটিলতা থাকলেও তা রিমুভ করে নতুন আইন তৈরি করতে পারবে সরকার।’

তিনি বলেন, ‘ভোটার তালিকা তৈরি করব আমরা, আর এনআইডি থাকবে অন্য বিভাগ বা মন্ত্রণালয়ের হাতে! এটা হলে নির্বাচন কমিশন সরকারের অন্য কোনো দফতরের অধীনস্ত প্রতিষ্ঠানের পর্যায়ে চলে যায়। সুতরাং এটা সংবিধান গ্রহণ করে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন আলাদা থাকবে অন্য কোনো দফতরের অধীনে তারা থাকবে না।’

এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে এনআইডি অন্য বিভাগের কাছে গেলে জটিলতা হবে।’

জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠি প্রসঙ্গ সিইসি বলেন, ‘ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আমার সঙ্গে একটা উৎকণ্ঠা নিয়ে দেখা করেছেন। চিঠির বিষয়টি নিয়ে কমিশন সভায় আমরা আগেই আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে আমরা জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের মহাপরিচালকে দায়িত্ব দিয়েছি। পুরো বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে কমিশনের তারা প্রতিবেদনে তুলে ধরতে বলা হয়েছে। আবার কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও এ বিষয়ে তাদের যুক্তি তুলে ধরতে বলা হয়েছে। ইসি সচিব সেই প্রতিবেদন কেবিনেট সচিবকে দেবেন।’

এদিকে জাতীয় পরিচয়পত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে যাওয়ার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে সিইসির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/এমও

এনআইডি এনআইডি সেবা জাতীয় পরিচয়পত্র টপ নিউজ সিইসি

বিজ্ঞাপন

রিশাদ-জাহানদাদে কুপোকাত সিলেট
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২১

আরো

সম্পর্কিত খবর