‘সংকট মোকাবিলা-অর্থনৈতিক পরিকল্পনার সমন্বয় ঘটবে বাজেটে’
২৯ মে ২০২১ ১৫:২৫ | আপডেট: ২৯ মে ২০২১ ১৫:৪২
ঢাকা: আসন্ন বাজেটে করোনা সংকট মোকাবিলা এবং অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার বহুমাত্রিক পরিকল্পনার অনন্য সমন্বয় ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (২৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে তাঁতী লীগ আয়োজিত শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। নিজ সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, অতীতের ধারাবাহিকতায় আসন্ন বাজেট জনমানুষের প্রত্যাশা পূরণের পাশাপাশি করোনা সংকট মোকাবিলা এবং অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার বহুমাত্রিক পরিকল্পনার অনন্য সমন্বয় ঘটবে বলে মনে করি।
এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক উদারতা, জনগণের প্রতি কমিটমেন্ট ও দায়িত্বশীলতা শূন্যের কোটায় পৌঁছে গেছে, যা করোনাকালে জনমানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। করোনা ও সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে না গিয়ে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে বিএনপি সফল হয়েছে।
বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতি চর্চার মাঝেও আসন্ন বাজেট নিয়ে ২৪ দফা ভাবনা তুলে ধরায় তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের এ থেকে ভাবনার মাঝে সরকারের সফলতা বা অর্জনের কোনো একটি বাক্যও খুঁজে পেলাম না। বিএনপি যত ইতিবাচক ভাবনাই ভাবুক, তারা তাদের সেই সংকীর্ণতার বৃত্ত থেকে আজও বের হতে পারেনি।
গত বাজেট বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা সরকারকে পৃথিবীর অনেক দেশের মতো করোনার সংক্রমণে অভিঘাত মোকাবিলা করতে হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে জীবন-জীবিকার সমন্বয় করে অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছে। দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য তথা উৎপাদন ব্যবস্থাকেও সচল এবং গতিশীল রাখা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি রাজস্ব আহরণের চাকা সচল রাখার মত চ্যালেঞ্জিং কাজ সরকার দক্ষতার সঙ্গে চালিয়েছে।
এ সময়ে দুই হাজার ২২৭ ডলার মাথাপিছু আয় বেড়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধ, চিকিৎসা অব্যাহত রাখা, ভ্যাকসিন সংগ্রহ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিধি বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি, রিজার্ভ সম্প্রসারণ ইত্যাদি সূচকে দেশের অর্থনীতির যে সক্ষমতা তা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মুখে কোনো প্রশংসা বা বাস্তব অর্জনের কথা বলে না।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অর্থনীতির সংকোচনের কথা বলেছেন— এর জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তার আগেই তাদের আত্মিক সংকোচন ঘটে গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাঁতী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্যেশে বলেন, তাঁতীদের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক নেই তাদের তাঁতী লীগে করা যাবে না। তাঁত শিল্পের বিকাশে হবে তাঁতী লীগ। বিদেশের মাটিতে কেউ যেন তাঁতী লীগের দোকান না খুলতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৭৫ পরবর্তীকালে সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিকের নাম বলেও মনে করেন। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) এখন একজন ব্র্যান্ড, এই ব্র্যান্ড আলো ছড়াচ্ছে বিশ্ব রাজনীতিতে।
এ সময় তাঁতী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথসহ অন্যন্য নেতারা।
সারাবাংলা/এনআর/এনএস
অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়া আসন্ন বাজেট করোনা সংকট মোকাবিলা টপ নিউজ পরিকল্পনার সমন্বয়