ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়স শিথিলের চিন্তা-ভাবনা চলছে
২৭ মে ২০২১ ২১:০১ | আপডেট: ২৮ মে ২০২১ ০৩:২৩
ঢাকা: মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশি কর্মীদের প্রবেশ সহজ করতে নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য দেশে বয়স শিথিলের প্রস্তাব দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্যসহ আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাব দেবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে সৌদিতে যাওয়া প্রবাসীকর্মীদের কোয়ারেন্টাইন খরচে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সাংবাদিকদের তার দফতরে এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের একটা প্রস্তাব আসছে, কালকে এটি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় মিটিং আছে। আমাদের যারা মধ্যপ্রাচ্যে যায় তাদের অনেকেই ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে বয়স। আমাদের টিকার (ভ্যাকসিন) ক্ষেত্রে বয়স ৪০ এর বেশি হলে পায়। মধ্যপ্রাচ্যে করোনা টিকার ডাবল ডোজ হইলে কোয়ারেন্টাইন করতে হয় না, শুধু করোনা টেস্টে নেগেটিভ থাকলে বাড়িতে বসে কোয়ারেন্টাইন করা যায়। আমরা প্রস্তাব করতে চাইব, তাদের (২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে যারা মধ্যপ্রাচ্যে যায়) জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করে ২০ বছরের উপরের বয়সীদের টিকা দিতে। আমরা এটি নিয়ে কালকে আলাপ করব। এটি হলে ওদের অনেক উপকার হবে। আমরা এটা চিন্তাভাবনা করতেছি, এখনও কিছু হয়নি।’
বাংলাদেশ থেকে সৌদিতে যাওয়া প্রবাসীকর্মীদের কোয়ারেন্টাইন খরচে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই তথ্য জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের যারা সৌদি আরবে যাচ্ছে, তাদের সাতদিনের কোয়ারেন্টাইন করতে হয়। ওখানে বিভিন্ন লেভেলের হোটেল রয়েছে। আমাদের প্রবাসীরা তাদের কোয়ারেন্টিনের জন্য যেসব হোটেল নির্ধারণ করেছে সৌদিতে সেগুলো অনেক ব্যয়বহুল। প্রবাসীদের এসব হোটেলে যেতে তাই আগ্রহ কম। তাদের কষ্ট দেখে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, আপনারা হোটেলের ব্যবস্থা করেন। তাই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, প্রবাসীরা সৌদিতে গেলে আমরা সাবসিডি (ভর্তুকি) দেব। বিষয়টি নিয়ে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর সঙ্গে আমি আলাপ করেছি।’
ভারতীয় ভেরিয়েন্টের প্রচার বাংলাদেশের শ্রমবাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে ভারতীয় অনেক লোক এসেছে কিন্তু এরমধ্যে মাত্র ১৩ জন এফেক্টেড হয়েছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমিত একজন। কিন্তু এটির এত বেশি প্রচারণা হচ্ছে সবাই ভয় পাচ্ছে, বাংলাদেশে বোধহয় ভারতীয় ভেরিয়েন্ট খুব বেশি। এর ফলে বিভিন্ন দেশ সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, আমিরাত, দক্ষিণ কোরিয়া, বাহরাইন ও যুক্তরাজ্য তারা তো রেড অ্যালার্ট দিয়ে রাখছে। বিভিন্ন দেশ আমাদের সব ফ্লাইট বন্ধ করে দিছে। কারণটা হলো তাদের ভয়, ভারতে থেকে লোক বাংলাদেশে এসে ছড়াচ্ছে। কেবলমাত্র সৌদি আরবের শ্রমবাজার একমাত্র খোলা।’
সারাবাংলা/জেআইএল/একে