দৃষ্টিনন্দন ডাক ভবনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
২৭ মে ২০২১ ১২:০২ | আপডেট: ২৭ মে ২০২১ ১৬:৫৯
ঢাকা: রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নবনির্মিত দৃষ্টিনন্দন ডাক ভবনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ডাক বাক্সের আদলে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত নান্দনিক এই ভবনটি উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে ডাক অধিদফতরের নবনির্মিত ভবনটিকে একটি দৃষ্টিনন্দন ভবন বলে অভিহিত করেন এবং এটি ডাক বিভাগের ঐতিহ্যের পরিচয় বহন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এই অনন্য ভবনটি নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ডাক বিভাগ সংশ্লিষ্টরা। ডাক ভবন উদ্বোধনে ডাক অধিদফতরের জন্য ঐতিকহাসিক এই মুহূর্তটি স্মরণীয় করে রাখতে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করেন। এছাড়া ডাক বিভাগের উপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আগারগাঁওয়ে ডাক ভবন প্রান্তে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন এবং মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিনসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা।গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
জানা যায়, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ২টি বেইজমেন্টসহ ১৪ তলা ভবন নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ ডাক অধিদফতরের সদর দফতর শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ২০ মার্চ একনেকে অনুমোদিত হয়। নবনির্মিত ডাক ভবনটিতে সুসজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক পোস্টাল মিউজিয়াম, সুপরিসর অডিটরিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, মেডিক্যাল সুবিধা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং সার্বক্ষণিক ওয়াইফাইসহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তিগত সুবিধা রাখা হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তৎকালীন ঢাকা জিপিও ভবনের কয়েকটি কক্ষ নিয়ে ডাক অধিদফতরের যাত্রা শুরু হয়। তীব্র স্থান সংকটের মধ্যে স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত ঢাকা জিপিও ভবনের তৃতীয় তলায় ডাক অধিদফতরের প্রশাসনিক সদর দফতরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ঢাকা জিপিও প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো হয়ে যাওয়ায় ভবনটির ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ সম্ভব নয়। ফলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় দাফতরিক কর্মপরিবেশ ও গতিশীলতা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছিল। এ অবস্থায় ডাক অধিদফতরের সদর দফতর হিসেবে একটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ও নান্দনিক স্বতন্ত্র ডাক ভবন স্থাপন করা ছিল একান্ত জরুরি। এ সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য আন্তরিকতায় বর্তমান সরকার তার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় উন্নত কর্মপরিবেশ ও প্রশাসনিক কাজে উদ্যম ও গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে ঢাকার শেরে বাংলা নগরে ডাক অধিদফতরের সদর দফতর হিসেবে একটি স্বতন্ত্র ভবন স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
সারাবাংলা/এনআর/এসএসএ