ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বরিশালে নদীর পানি বৃদ্ধি
২৫ মে ২০২১ ১৬:১৩ | আপডেট: ২৫ মে ২০২১ ১৬:৩০
বরিশাল: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় প্রস্তুত করা হয়েছে বরিশাল বিভাগের চার হাজার ৯১৫ আশ্রয় কেন্দ্র। যার মধ্যে রয়েছে সাইক্লোন শেল্টার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেখানে আশ্রয় নিতে পারবেন ২০ লাখের মতো মানুষ এবং কয়েক লাখ গবাদি পশু। ইয়াসের প্রভাবে বরিশালে নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বাড়ছে। কীর্তনখোলা নদীর বিপৎসীমা ২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার হলেও পানি প্রবাহিত হচ্ছে দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার উচ্চতায়।
বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় বরিশাল জেলায় এক হাজার ৭১টি আশ্রয় কেন্দ্র, পটুয়াখালীতে ৯২৫টি, ভোলায় এক হাজার ১০৪টি, পিরোজপুরে ৭১২টি, বরগুনায় ৬২৯ এবং ঝালকাঠিতে ৪৭৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
দুর্যোগ মোকবিলায় বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রস্তুতি ও নির্দেশনামূলক বেশকিছু সভা অনুষ্ঠিত হয়েছেন। যার মধ্যে গতকাল সোমবার (২৪ মে) জুম অ্যাপের মাধ্যমে বিভাগীয় প্রশাসনের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আশ্রয় কেন্দ্রে বিশুদ্ধ পানি, শুকনা খাবার ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গতকাল সোমবার রাতে বরিশালে থেমে থেমে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। কয়েকদিনের তীব্র তাবদাহের পর বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। ফলে জনজীবনেও কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মো. মাসুদ রানা রুবেল জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বরিশালে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বরিশালে বজ্রসহ ভারী এবং অতিভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগামীকাল বুধবার (২৬ মে) চন্দ্রগ্রহণ। এ কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাবে এবং বৃষ্টিপাত বাড়বে। গতিপথ ঠিক থাকলে বুধবার দুপুরের পর উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ইয়াস।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাসুম জানান, ঘূর্ণিঝড় যত নিকটবর্তী হবে নদীর পানি তত বৃদ্ধি পেতে থাকবে। এ অবস্থায় নদীতীরবর্তী ও নদীতে অবস্থানকারীদের সরকারি নির্দেশনা অনুসরণের অনুরোধ করেন তিনি।
সারাবাংলা/এনএস