এক সপ্তাহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, সংক্রমণ বাড়লে নতুন সিদ্ধান্ত
২৩ মে ২০২১ ১৩:১৩ | আপডেট: ২৩ মে ২০২১ ১৪:৩০
ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ আরও সাতদিন অব্যাহত থাকবে। তবে এবার এ সিদ্ধান্তে শর্তসাপেক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচলের পাশাপাশি অর্ধেক ক্রেতা নিয়ে হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে বিধিনিষেধে এই শিথিলতা আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত আগামী এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করা হবে, এরপর করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেলে নতুন সিদ্ধান্ত আসবে।
রোববার (২৩ মে) তার সঙ্গে ফোনে কথা বলে এ সব তথ্য জানা গেছে। তিনি জানান, আমরা করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে চাই এবং এই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে দীর্ঘমেয়াদী।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে কাজকর্মে সমস্যা হচ্ছে, সেই বিবেচনা ও সার্বিক বিবেচনা করে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ সিদ্ধান্ত এক সপ্তাহের জন্য। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপাতত এক সপ্তাহের জন্য এটি পর্যবেক্ষণ করব, সকলে এটি মানছে কি না?’
তিনি বলেন, ‘দূরপাল্লার গাড়িগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়, তবে এবার আন্তঃজেলাগুলোতে শতভাগ মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। অন্যদিকে দেখব রেস্টুরেন্টগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কি না। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।’
বিধিনিষেধের কারণেই এখন করোনাভাইরাস তুলনামূলক নিয়ন্ত্রণে দাবি করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের করোনার প্রভাব যখন যেখানে যেমন থাকবে তখন সেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। সকলকে সচেতন হতে হবে। সবাই মাস্ক ব্যবহার করছে কি না তা কড়াকড়িভাবে দেখছি। আরও দেখব। শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা চলাচল করবে। এ ক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে আবার জীবন-জীবিকা চালাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘একসপ্তাহ পরে যদি করোনা বাড়ে তাহলে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হবে। যদি ভালো হয় তবে এটি কন্টিনিউ করা হবে। করোনাকে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যারা ভ্যাকসিন নেয়নি তারা ঝুঁকিতে, তাদের বেশি সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এবার শুধু গণপরিবহন এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ খুলে দিয়েছি শর্ত সাপেক্ষে। এ ছাড়া বাকি সব আগের নির্দেশনাই থাকবে।’
উল্লেখ্য, করোনাভাইসারের সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। এরপর তা ধাপে ধাপে শিথিল করে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত অব্যাহত রাখা হচ্ছে।
সারাবাংলা/জেআর/একে