ছেলের সামনে বাবাকে হত্যা: আরেক আসামি মনির বন্দুকযুদ্ধে নিহত
২৩ মে ২০২১ ০৯:২০
ঢাকা: পল্লবীতে সন্তানের সামনে সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি মনির গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। শনিবার (২৩ মে) রাত তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে এ খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এর আগে এই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আরেক আসামি মানিক র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় শুক্রবার (২১ মে) সকালে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার র্যাব সদর দফতরের মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার খোন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের নির্দেশে সন্তানের সামনেই ওই ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়। আর তাকে কুপিয়ে হত্যার সময় প্রথম যিনি কুপিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন মানিক।
গত বৃহস্পতিবার (২০ মে) কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে এম এ আউয়ালকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানয়, পরিকল্পনা অনুযায়ী ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ৫ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যে জীবনাবসান ঘটানো হয় সাহিনুদ্দিনের। মানিক, সুমন, মনিরসহ বেশ কয়েকজন এসময় তাকে আঘাত করেন। পরে সাহিনুদ্দিনের মৃত্যু নিশ্চিত হলে সুমন ফোন দেন এই হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি সাবেক এমপি আউয়ালকে। বলেন— ‘স্যার, ফিনিশ’!
হত্যাকাণ্ডের পর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে র্যাব। ১৭ মে মামলার ১৩ নম্বর আসামি দিপুকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯ মে চাঁদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় হাসান নামে একজনকে। ২০ মে রাতে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী এম এ আউয়ালকে ভৈরব থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া পটুয়াখালীর বাউফল থেকে ১৯ নম্বর আসামি জহিরুল ইসলাম বাবুকে গ্রেফতার করে র্যাবের আরেকটি দল। অন্যান্য আসামিদের অভিযান অব্যাহত ছিল। সেই অভিযানে আজ ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হলেন মানিক।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশও এ ঘটনায় জড়িত আরও পাঁচ-ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে।
সারাবাংলা/ইউজে/এএম