২৪ মে থেকে লঞ্চ চলাচলে অনুমতি চায় মালিকরা
২২ মে ২০২১ ১৭:২১
ঢাকা: আগামী ২৪ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ পরিচালনা করতে চান সংশ্লিষ্ট মালিকরা। একই সঙ্গে নৌ চলাচলে বিভিন্ন ট্যাক্স ও চার্জ মওকুফের দাবি তাদের। এদিকে সরকারি নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত সারাদেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআইডব্লিউটিএ।
শনিবার (২২ মে) সদরঘাটে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ( যাত্রী পরিবহন) সংস্থা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ২৪ মে থেকে লঞ্চ চলাচলের দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. বদিউজ্জামান বাদল বলেন, ‘চলমান বিধিনিষেধে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় এ খাত ক্রান্তিকালের সম্মুখীন হয়েছে। অথচ তৈরি পোশাক শিল্প কারখানা দোকান-পাট, শপিংমল, রেস্তোরাঁ, আবার জেলা ও সিটিতে গণপরিবহন চলাচলেও সরকার অনুমতি দিয়েছে। তাহলে নৌ খাতের ক্ষেত্রে এই বৈষম্য কেন?’
আরও বলেন, ‘লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকলেও আমরা সরকারকে অগ্রিম আয়কর, বিআইডব্লিউটিএকে আগাম কঞ্জারভেন্স, ডিজি শিপিংকে আগাম সার্ভে ও নিবন্ধন ফি দিয়ে যাচ্ছি। এতে কোনো মাফ নেই। আমরা সরকারকে কাছে অনুরোধ করেছিলাম অন্তত মাওয়া, আরিচা পর্যন্ত কিছু লঞ্চ চলাচলে অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু তাতেও অনুমতি মেলেনি।’
তিনি বলেন, ‘চলমান বিধিনিষেধ ২৩ মে শেষ হচ্ছে। আমরা সোমবার (২৪ মে) থেকে সারাদেশে লঞ্চ চলাচলে অনুমতির চাই। আমরা সরকারের শর্ত মেনে স্বাস্থ্যবিধি পালন করেই নৌ পরিবহন পরিচালনা করতে চাই। যদি তা না পাই তাহলে ২৪ তারিখের পর কিছু কর্মসূচি থাকবে। আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব।’
এদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ – বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে সরকারি নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত কোনোভাবে লঞ্চ চলাচলে অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমাদের কাছে লঞ্চ মালিকদের পক্ষ থেকে লঞ্চ চলাচলসহ বেশ কিছু দাবি এসেছে। কিন্তু সরকারের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।’
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে বিধিনিষেধ চলমান। এর মধ্যে বিধিনিষেধ শিথিল করে শপিংমল দোকান-পাট খুলে দেওয়া হয়েছে। জেলা ও সিটিতে গণপরিবহন চলাচলে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ, ট্রেন চলাচল। আগামী রোববার (২৩ মে) মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে বিধিনিষেধ।
সারাবাংলা/জেআর/একে