আবারও বেড়েছে তেলের দাম, বাড়ছে পেয়াজের ঝাঁজও
২১ মে ২০২১ ১৬:২২ | আপডেট: ২১ মে ২০২১ ২১:০৫
ঢাকা: মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় দেওয়া লকডাউনের কারণে আবারও বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের দাম। গেল এক সপ্তাহে বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। একইসঙ্গে বাড়ছে পেঁয়াজের দামও। এছাড়াও সবজি কিনতে আগের থেকে বেশি দাম দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
নিউমার্কেট কাঁচাবাজারে খোলা সয়াবিনের দাম কেজিতে প্রায় ১০ টাকা বেড়েছে। পেঁয়াজের দামও কেজিতে পাঁচ থেকে সাত টাকা বেড়েছে। এ ছাড়াও রান্নার জন্য পাম তেল কিনতে হচ্ছে দুই থেকে পাঁচ টাকা বেশি দাম দিয়ে। আর বোতলজাত তেল অবশ্য আগের দামেই বিক্রি করছেন দোকানিরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, যেসব দেশ থেকে তেল আনা হয় সেখানে তেলের দাম বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে।
রাশিদ নামের এক পাইকার সারাবাংলাকে বলেন, ‘দাম বাড়লে সবাই আমাদেরকে দোষ দেন, কিন্তু আমরা দাম বাড়াই না। আমরা আমদানি করি, সেখানে ব্যয় বাড়লে আমাদের কী করার থাকে?’
তিনি জানান, পাইকারিতে ৪০ কেজি সয়াবিন বিক্রি হয়েছে চার হাজার ৮০০ টাকায়। ঈদের আগে এই দাম ছিল চার হাজার ৪০০ টাকা। এ ছাড়া পাম ও সুপার পাম তেল যথাক্রমে চার হাজার ৩০০ ও চার হাজার ৪৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাশিদ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম এখন স্থির নেই। সেখানে নিশ্চয় আমাদের হাত নেই! তারপরও দেশের বাজারে তেলের দামও এখনো সহনীয় পর্যায়েই রয়েছে। খুচরায় প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১২২ থেকে ১২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। যেখানে সয়াবিনের পাইকারি দাম হয় ১১৭ টাকা। এছাড়াও পাম ও সুপার পাম ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে দাম বেড়ে দেশি পেঁয়াজ খুচরায় আবারও ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে তেল-পেঁয়াজের দাম বাড়লেও এই সপ্তাহে পুরনো দামে ফিরে এসেছে মাংসের বাজার। গরুর মাংস এখন ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এই দুটো পণ্যের দামই ঈদে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল।
এ ছাড়াও ঈদে ১৬০ টাকায় বেচা ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৪০ টাকায় নেমেছে। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৬০ টাকা, যা ঈদের আগে ৩২০ টাকায় উঠেছিলো। ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কমলেও লাল লেয়ার মুরগি আগের মতো ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। মানভেদে শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
সারাবাংলা/টিএস/একে