দেশীয় ভ্যাকসিন উৎপাদনে মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নেই
২১ মে ২০২১ ১৫:১০
ঢাকা: জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, বিদেশি ভ্যাকসিন আমদানি ও উৎপাদনে ব্যাপক উৎসাহ থাকলেও; দেশীয় ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহায়তা নেই মন্ত্রণালয়ের। আর এ কারনেই তিন মাস পার হলেও দেশে উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিন বঙ্গভ্যাক্স ট্রায়ালের অনুমতি পাচ্ছে না।
শুক্রবার (২১ মে) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাপা চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ১৯৮২ সালে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ওষুধনীতি তৈরি করেন। তখন চাহিদার মাত্র ১৬ ভাগ ওষুধ দেশে তৈরি হতো। ওষুধনীতির ফলে ৯৭ ভাগ চাহিদা মিটিয়ে দেশে তৈরি ওষুধ বর্তমানে শতাধিক দেশে রফতানি হচ্ছে। বাংলাদেশেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বমানের অনেক ওষুধ কোম্পানি।
তিনি বলেন, গেলো বছর বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠান গুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেক করোনা ভ্যাকসিন বঙ্গভ্যাক্স উদ্ভাবন করে। প্রাণীদেহে অ্যান্টিবডি তৈরিতে সফল হয়েছে এক ডোজের বঙ্গভ্যাক্স। ইতোমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বঙ্গভ্যাক্সকে করোনা প্রতিরোধে তালিকাভুক্ত করেছে। বঙ্গভ্যাক্স এর গবেষণাপত্র যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল জার্নাল ভ্যাকসিনে প্রকাশিত হয়েছে। বঙ্গভ্যাক্স এর কোডিং সিকোয়েন্স যুক্তরাষ্ট্রের এনসিবিআই ডাটাবেজে সংরক্ষিত হয়েছে।
এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন প্লাটফর্ম বায়ো আর্কাইভে প্রকাশিত হয়েছে বঙ্গভ্যাক্স এর গবেষণাপত্র। আবার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ভ্যাকসিন উৎপাদনে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন। কিন্তু বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের তরফ থেকে অজানা কারণে অনুমোদন ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে বন্ধ হয়ে আছে বঙ্গভ্যাক্সের ট্রায়াল। অথচ বঙ্গভ্যাক্স সফল হলে ভ্যাকসিন সংকটকালে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও ভ্যাকসিন রফতানি সম্ভব হবে। তাই, বঙ্গভ্যাক্স’র ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে — বলেন জি এম কাদের।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একেএম
করোনা ভ্যাকসিন জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের টপ নিউজ নভেল করোনাভাইরাস বঙ্গভ্যাক্স