ঈদে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার শপথ নেওয়ার আহ্বান
১৩ মে ২০২১ ১৯:১৯ | আপডেট: ১৩ মে ২০২১ ২১:৫৮
ঢাকা: ঈদের আনন্দে মনের সব কালিমা দূর করে, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে একে অন্যের সঙ্গে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার শপথ নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া শুভেচ্ছা ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ/ তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানি তাগিদ’— ঈদুল ফিতরের সমার্থক হয়ে ওঠা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী এই গানের বাণী উদ্ধৃত করেই সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। কেবল বাংলাদেশ নয়, বিশ্ববাসীকে তিনি এই শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঈদের দিন আনন্দের দিন। মনের সব কালিমা দূর করে, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে একে অন্যের সঙ্গে মিলে যাওয়ার মধ্যেই ঈদের আনন্দ। আজকের দিনে আমরা হিংসা-বিদ্বেষ, ঘৃণা, লোভ, অহমিকা, ক্রোধ, অহংকার ইত্যাদি যাবতীয় কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেদের মুক্ত করে সাম্য, ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার শপথ নেব।
ঈদের মর্মবাণী তুলে ধরে কাজী নজরুল ইসলামের আরও একটি কবিতার কয়েকটি পঙ্ক্তি উদ্ধৃত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা—
পথে পথে আজ হাঁকিব, বন্ধু,
ঈদ মোবারক! আসসালাম!
ঠোঁটে ঠোঁটে আজ বিলাব শিরনী ফুল-কালাম!
বিলিয়ে দেওয়ার আজিকে ঈদ!
আমার দানের অনুরাগে-রাঙা ঈদগা’রে!
সকলের হাতে দিয়ে দিয়ে আজ আপনারে-
দেহ নয়, দিল হবে শহিদ।।
আবারও সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আবারও সবাইকে ঈদ মোবারক।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ ও ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনসহ সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে স্মরণ করেন।
পাশাপাশি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে ঘাতকদের হাতে নিহত বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ভাই মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ও ১০ বছরের ছোট্ট শেখ রাসেলসহ শেখ কামাল ও শেখ জামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল এবং আমার চাচা মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসেরসহ সব শহিদদেরও স্মরণ করেন।
সারাবাংলা/এনআর/টিআর
ঈদুল ফিতর জাতির উদ্দেশে ভাষণ টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা