Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জিয়া শিশু পার্ক করার সময় পরিবেশবাদীরা চুপ ছিলেন কেন: নানক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৮ মে ২০২১ ১৪:৪৭ | আপডেট: ৮ মে ২০২১ ১৫:৩৭

ঢাকা: ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে স্মৃতি তুলে ধরার জন্যই এক বিশাল প্রকল্প নেওয়া হয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, যখন জিয়াউর রহমান শিশু পার্ক তৈরি করে স্মৃতিচিহ্নগুলো মুছে ফেলল তখন কিন্তু পরিবেশবাদী বা বুদ্ধিজীবীরা সেদিন বিরোধিতা করেনি। এটি দুঃখজনক এবং দুভার্গ্যজনক।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৮ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্মচারী ইউনিয়ন ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কর্মচারীদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘পাকিস্তানি আমলের রেসকোর্স ময়দান, সেই রেসকোর্স একদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার মধ্য দিয়ে সেদিন স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু মুজিব তার স্বদেশে ফিরে এসে, তার জন্মভূমিতে ফিরে এসে সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বৃক্ষরোপণ করলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যে জায়গাটিতে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন সেই স্থানটি এবং শক্তিশালী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাজিত করার পর তাদের স্যারেন্ডার যেখানে হয়েছিল আনুষ্ঠানিকভাবে সেই জায়গাটি নষ্ট করা হয়েছিল।’

‘সেদিন জোর করে ক্ষমতা দখলকারী, বন্দুকের নল দিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমান সাহেবই তো সেদিন ওই শিশু পার্ক করার মধ্য দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্নগুলো মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

নানক বলেন, ‘ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে সেই স্মৃতি তুলে ধরার জন্যই, তুলে রাখার জন্যই সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক বিশাল প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।’

‘সেই বিশাল প্রকল্পে জলাধার রয়েছে, ঐতিহাসিক যে ভাষণ যে জায়গায় যে মঞ্চ থেকে দিয়েছিলেন, সেই মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে, যে জায়গায় স্যারেন্ডার হয়েছে, সেই স্যারেন্ডারকৃত স্থানটিকে সংরক্ষণ করা এবং সমগ্র সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি ছোট্ট শিশু ঢুকলে সে তার স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবে। সে রকম একটি বিশাল প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

‘কিন্তু যখন ওই শিশু পার্ক তৈরি করে যখন স্মৃতিচিহ্নগুলো মুছে ফেলা হল তখন কিন্তু পরিবেশবাদীদেরকে দেখা গেল না? পরিবেশবাদীরা বা বুদ্ধিজীবীরা কিন্তু সেদিন বিরোধীতা করল না? প্রতিবাদ করল না, এটি দুঃখজনক এবং দুভার্গ্যজনক।’

অসহায় দুঃস্থ মানুষের মাঝে সহায়তার এগিয়ে আসার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আসুন, সমস্ত ধনীক শ্রেণির মানুষেরা, অর্থশালী মানুষেরা মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। আপনার যাকাত দিয়ে দুস্থ গরীব মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। মানুষ তো মানুষের তরে। মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসুন।’

ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমুতুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবদুল জলিল ভুঁইয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এবং উপ-কমিটির সদস্য সচিব সুজিত রায় নন্দী।

আরও পড়ুন
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা বন্ধ চেয়ে আইনি নোটিশ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা জানতে চান হাইকোর্ট

সারাবাংলা/এনআর/একে

আওয়ামী লীগ নানক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর