নিজ খরচে হোটেলে কোয়ারেনটাইন, মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন ভারতফেরতরা
৬ মে ২০২১ ২৩:৩৪ | আপডেট: ৭ মে ২০২১ ১০:৪৭
সাতক্ষীরা: যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে ফেরা ১৪০ জন পাসপোর্ট যাত্রীকে সাতক্ষীরা শহরের ৪টি আবাসিক হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় দেশে আসা এসব যাত্রীদের মধ্যে ৫০ জনের একটি দলকে আবাসিক হোটেল উত্তরা ও বাকিদের টাইগার প্লাস এবং হোটেল আল কাশেম এ রাখা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকেরই পাসপোর্ট সদর থানায় জমা রাখা হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন স্থানে।
তবে অর্থের অভাবে না খেয়ে তাদের অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে জানিয়েছেন ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া এসব পাসপোর্টধারী যাত্রীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পৌরসভার একজন জনপ্রতিনিধি জানান, ভারতে মহামারি করোনার সংক্রমণে প্রচুর মানুষ মারা যাচ্ছে। তাই ভারত থেকে আসা এসব পাসপোর্ট যাত্রীদের হোটেলগুলোতে আবাসনের ব্যবস্থা না করে, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের ৫ম তলা ভবনে রাখা যেতো।
ভারত থেকে আসা এসব বাংলাদেশি নাগরিকদের অভিযোগ, আবাসিক হোটেলে আনার পর তাদের হোটেল ভাড়া ও খাওয়া খরচ নিজেদেরই বহন করতে হচ্ছে। এর ফলে অনেকেই না খেয়ে দিন পার করছেন। তাদের অধিকাংশ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভারতে গিয়েছিলেন চিকিৎসার কারণে। ফেরার পর তাদের কাছে আর কোনো টাকা নেই। এখন তারা না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের এখন কিছু হলে তাদের দায় ভার কে নেবে এ প্রশ্ন তাদের?
তাদের দাবি, স্ব স্ব জেলায় পাঠিয়ে সেখানে তাদের কোয়ারেনটাইনের ব্যবস্থা করাসহ তাদের স্বজনদের কাছে খবর দেওয়া হোক।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, ভারত থেকে বেনাপোল কাস্টমস অফিস দিয়ে দেশে ফেরা ১৪০ জন বাংলাদেশিকে সাতক্ষীরায় অবস্থান করছেন। শহরের তিনটি আবাসিক হোটেলে তারা রয়েছে। তারা সরকারের কাছ থেকে বিশেষ পাশ নিয়ে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশি হাইকমিশনে তারা বন্ড দিয়ে এসেছে তারা এখানে কিভাবে থাকবেন। প্রশাসন যেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করবেন সেখাইে তাদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে থাকতে হবে এবং তারা নিজ খরচে থাকবেন। তারা সেভাবেই সেখান থেকে বন্ড দিয়ে এসেছেন।
তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে তাদের বেনাপোল থেকে সাতক্ষীরায় আনা হয়েছে। বেনাপোল ও যশোরে প্রায় এক হাজারের মতো ভারত ফেরত বাংলাদেশিরা কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন। বাকিদের সাতক্ষীরাসহ আশেপাশের জেলায় পাঠানো হচ্ছে। তবে এখানে যারা রয়েছেনে তাদের সুব্যবস্থাপনার জন্য জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছেন। এছাড়া অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সেখানে নিয়োগ করা হয়েছে। তারা যাতে বাইরে না আসতে পারে সেজন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/এমও