Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ভ্যাকসিন ঘাটতি আছে ১৪ লাখ ডোজের বেশি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৫ মে ২০২১ ১৫:৩৭ | আপডেট: ৬ মে ২০২১ ১৯:২৩

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জাতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন কর্মসূচি চলছে। ইতোমধ্যেই যারা প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন সেই সংখ্যার বিপরীতে বর্তমানে এই মুহূর্তে ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫১৪ ডোজ ভ্যাকসিনের ঘাটতি রয়েছে। সময় মতন ভ্যাকসিন না আসলে প্রথম ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫১৪ জন দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন পাবেন না।

বুধবার (৫ মে) দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন।

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। তখন থেকে ৪ মে পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৭৫৭ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩১ লাখ ৬ হাজার ৭০৯ জন। অর্থাৎ, দুই ডোজ মিলিয়ে মোট ৮৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৬ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিনের বর্তমান মজুতের সঙ্গে হিসাব মিলিয়ে দেখা গেছে, ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫১৪ ডোজের সংকট রয়েছে।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন সংকটের কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখনো দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া বাকি ২৭ লাখ ১৩ হাজার ৪৮ জনের। দেশে এখন মজুত ভ্যাকসিন আছে ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৫৩৪ ডোজ। এ কারণে ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ডোজের অনিশ্চয়তায় পড়েছেন ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫১৪ জন।

তিনি আরও বলেন, ঈদুল ফিতরের আগেই চীন থেকে ভ্যাকসিন আসার সুযোগ আছে। আমরা আশা করছি সেটি দ্রুতগতিতেই আমাদের কাছে পৌঁছাবে। এ ভ্যাকসিন ছাড়াও রাশিয়ার যে স্পুটনিক ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে আলোচনা চলছে, সেটি দেশে আনতে ছাড়পত্র প্রয়োজন, যা বর্তমানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আছে।

বিজ্ঞাপন

আমরা আশা করছি দ্রুত গতিতে ছাড়পত্র পেলে রাশিয়ার ভ্যাকসিন আনতে সক্ষম হব বলে জানান অধ্যাপক ডা. রোবেদ মোমেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রেনেটা ফার্মাসিউটিক্যালস মডার্নার ভ্যাকসিন আনার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছে। এটি নিয়েও তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা বিদ্যমান আছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের আরও তিনটি ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানি ইতোমধ্যে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে তারা বাংলাদেশি ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে চায়। তারা এটি নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের সক্ষমতাও স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে ইতোমধ্যে দেখা হয়েছে।

এই তিনটি কোম্পানি এক বছরে দেড় কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বলে জানান অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।

তিনি বলেন, আমরা সংক্রমণের পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি। বিগত সাত দিনে পরিস্থিতি এখন আগের চেয়ে ভালো। একটা সময় ছিল যখন প্রতিদিন ছয় থেকে সাত হাজারের বেশি করোনা শনাক্ত হতো। কিন্তু গত সাত দিনে এখন শনাক্তের হার প্রায় ৮.৭১ এ চলে এসেছে। এভাবেই সংক্রমণ যেন নিচের দিকে চলে আসে এবং এটা যেন অব্যাহত থাকে, এজন্য আমাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। জনসাধারণকে চলাচল সীমিত করতে হবে।

অবস্থা যদি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারি, তাহলে সংক্রমণের হার আবারও যেকোনো সময় বেড়ে যেতে পারে। এ জন্য সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক রোবেদ আমিন।

সারাবাংলা/এসবি

ভ্যাকসিন রোবেদ আমিন স্বাস্থ্য অধিদফতর

বিজ্ঞাপন

রিশাদ-জাহানদাদে কুপোকাত সিলেট
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২১

আরো

সম্পর্কিত খবর