ঈদ আনন্দের সঙ্গে জীবনের দিকেও নজর রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
২ মে ২০২১ ১৫:৪৭
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঈদের আনন্দ সবার হবে। কিন্তু করোনাভাইরাসে ঘরে ঘরে মানুষ মারা গেছে, তাদের কথা একটা চিন্তা করবেন। নিজের বা পরিবার, বন্ধু-বান্ধবের জীবনটা যেন নষ্ট না হয়। সেদিকে সবাই মিলে দৃষ্টি দেবেন।
রোবাবার (২ মে) দুপুরে করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ দারিদ্র ও অসহায় মানুষকে মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবার মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম উদ্বোধনে তিনি একথা বলেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্থ সারাদেশের ৩৬ লাখ ৫০ হাজার পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে পাবে। আজ (রোববার) উপকারভোগীদের হাতে প্রধানমন্ত্রী এই উপহার পৌঁছে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে ভোলা, জয়পুরহাট এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রান্তে যুক্ত হয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এবং উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ৩৬ লাখ ৫০ হাজার অসহায় মানুষকে জীবন ও জীবিকার জন্য আড়াই হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। এজন্য ইতোমধ্যে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
নগদ, বিকাশ, রকেট এবং শিওরক্যাশের মত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে জিটুপি (গর্ভনমেন্ট টু পার্সন) ভিত্তিতে ২ হাজার ৫০০ টাকা পাবে প্রত্যেক পরিবার।
দেশবাসীকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। অন্যকেও সুরক্ষিত করতে হবে। আমরা টিকা দিচ্ছি এবং টিকা আরও নিয়ে আসছি। যত টাকা লাগে আরও টিকা নিয়ে আসব। আমরা এদেশের মানুষের কাছে টিকা পৌঁছে দেব। কিন্তু আপনাদের সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার যে সমস্ত নির্দেশনা আমরা দিচ্ছি, সেগুলো আপনারা দয়া করে মেনে চলবেন।
তিনি বলেন, আমি জানি রোজার সময়। সামনে ঈদ। বহুদিন হয়েছে, আমরা আত্মীয়-স্বজন ও পরিবার থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। তবু এখন তো মোবাইল ফোন আছে। টেলিভিশনে সব দেখতে পারেন।
‘তাই এটাই বলব, ঈদের আনন্দ সবার হবে। কিন্তু এই যে ঘরে ঘরে মানুষ মারা গেছে, তাদের কথা একটু চিন্তা করবেন। কাজেই নিজের জীবনটা যেন নষ্ট না হয় বা পরিবার-বন্ধু বান্ধবের জীবনটা নষ্ট না হয়। সেদিকে সবাই মিলে একটু দৃষ্টি দেবেন।’ তাই টিকা নেওয়া সত্ত্বেও মাস্কটা পড়ে থাকার পাশাপাশি গরম পানির গার্গেল করা, ভাপ নেওয়াসহ করোনাভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি প্রতি পালনের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, যেহেতু আমরা আন্তঃজেলা যাতায়াতটা বন্ধ করেছি। তাতে অনেক পরিবহন শ্রমিক তাদের অসুবিধা হচ্ছে। আমরা তাদের প্রণোদনার ব্যবস্থা এবং তাদের জন্য কিছু সহযোগিতার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। যেসব এলাকায় এখন করোনা নাই, সেই জেলার ভিতর যোগাযোগটা যেন করতে পারে, সে ব্যবস্থাটা থাকবে। কিন্তু করোনাভাইরাস যেসব জেলায় আছে, সেখান থেকে আরেক জেলায় যেন যাতায়াতটা করতে না পারে। সেখান থেকে যাতে এটা সারাদেশে ছড়াতে না পারে। এব্যাপারে জনগণকে সচেতন হতে হবে।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়েও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রশাসনসহ দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সারাবাংলা/এনআর/এনএস
আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম করোনাভাইরাস টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা