চমেকে মারামারির ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা
৩০ এপ্রিল ২০২১ ২১:৫৯ | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২১ ২২:০১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে চমেকের ছাত্র ও বহিরাগতসহ ৩১ জনকে পৃথকভাবে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া পৃথকভাবে অজ্ঞাতনামা আরও অন্তত একশ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে দু’পক্ষের দুই নেতা বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা দু’টি দায়ের করেছেন। পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া মামলা দায়েরের বিষয়টি সারাবাংলাকে জানিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকে চমেক ক্যাম্পাসে ও ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হাতাহাতি ও মারামারি হয়। এতে অন্তত পাঁচ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে দু’জন ইন্টার্ন চিকিৎসকও ছিলেন। সংঘাতে জড়িত দুই গ্রুপ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
সংঘাতের ঘটনায় উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারী চমেকের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র রিয়াজুল ইসলাম জয় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন— ডা. মো. হাবিবুর রহমান, আল আমিন ইসলাম শিমুল, ডা. ওসমান গণি, ডা. অতন্দ্র আকাশ, ডা. এ এল এম এস শাহরিয়ার, ডা. মাসুম বিল্লাহ মাহিন, সাইফুল আলম লিমন, ফরিদ আহাম্মদ, সুজয়মান বড়ুয়া জিতু, আলাউদ্দিন আলো, শাহরিয়ার মো. রাহাতুল ইসলাম, মিনহাজ আরমান লিখন, মাহাদী বিন হাসিম, ডা. তাজওয়ার রহমান অয়ন, পল্লব বিশ্বাস, মো. ইফরাইন ও রবিউল হোসেন।
অন্যদিকে সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন— অভিজিৎ দাশ, মুশফিকুন ইসলাম আরাফ, রিয়াজুল ইসলাম,তৌফিকুর রহমান, সৌমিক বড়ুয়া, আতাউল্লাহ বুখারী, এইচ এম ফজলে রাব্বি সুজন, সুভাষ মল্লিক সবুজ, সাদ্দাম হোসেন ইভান, রবিউল ইসলাম রাজু, ইয়াছিন আওরাজ ভূঁঞা রওনক, মো. হানিফ ও জিয়াউদ্দিন আরমান।
দুইটি মামলাতেই চমেক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কয়েকজন বহিরাগতের নামও আছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে সংঘাতের জেরে ধরে গত বুধবার থেকে আকস্মিকভাবে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একাংশ, যারা সাবেক মেয়র নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তবে এতে চিকিৎসা সেবায় তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপরও করোনাকালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রাখা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন কর্মবিরতি আহ্বানকারীরা।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর
ইন্টার্ন চিকিৎসক চমেক হাসপাতাল ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ টপ নিউজ পাল্টাপাল্টি মামলা