Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হেফাজতের সাবেক নেতা হারুন ইজাহার আটক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৯ এপ্রিল ২০২১ ১১:১৬

চট্টগ্রাম ব্যুরো: হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক হারুন ইজাহারকে আটক করেছে র‌্যাব। তবে তাকে এখনও সুনির্দিষ্ট কোনো মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়নি।

বুধবার (২৯ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে নগরীর খুলশী থানার লালখানবাজারে জামেয়াতুল উলুম আল-ইসলামিয়া লালখান বাজার মাদরাসা থেকে তাকে আটক করে র‌্যাবের একটি দল। এরপর তাকে নগরীর পতেঙ্গায় র‌্যাবের চট্টগ্রাম জোনের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

র‌্যাবের চট্টগ্রাম জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল সারাবাংলাকে বলেন, হারুন ইজাহারকে আমরা আটক করেছি। ২৬ মার্চ থেকে তিনদিন ধরে হাটহাজারীতে চলা তাণ্ডব ও সহিংসতার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

হারুন ইজাহারের বাবা ইজাহারুল ইসলাম লালখান বাজার মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা। জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বরাবর আলোচিত বাবা-ছেলে উভয়ই হেফাজতে ইসলামের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ প্রতিষ্ঠার পর লালখান বাজার মাদরাসায় প্রশিক্ষণ হয়েছিল বলে অভিযোগ আছে। ইজাহারুল ইসলাম সংগঠনটির অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হিসেবে অভিযুক্ত।

এছাড়া আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা ও আল কায়েদার সঙ্গে ইজাহারের একসময়ের সম্পৃক্ততার তথ্য বিভিন্নসময় গণমাধ্যমে এসেছিল। এছাড়া তিনি তালেবানের পক্ষে আফগান যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ আছে।

হারুন ইজাহারের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থ সংগ্রহ এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ আছে।

২০১০ সালে ইজাহারুল ইসলাম ও হারুন ইজাহারকে ডিএমপির ডিবি শাখা গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে পাওয়া এসব তথ্য তখন গণমাধ্যমে এসেছিল।

বিজ্ঞাপন

২০১৩ সালে লালখান বাজার মাদরাসায় গ্রেনেড বানানোর সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু গ্রেনেড ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে। এরপর হারুন ইজাহারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার বাবা পালিয়ে গ্রেফতার এগাতে সক্ষম হন।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিন গত ২৬ মার্চ থেকে প্রায় সপ্তাহ ধরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে তাণ্ডবের ঘটনায় ইতোমধ্যে হেফাজতের ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ কয়েকজন শীর্ষ নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। এ প্রেক্ষিতে জুনায়েদ বাবুনগরী বারবার গণমাধ্যমে বার্তা পাঠিয়ে ‘হেফাজতে ইসলাম সরকারবিরোধী নয়’ বলে প্রচার করেন। কয়েকদিন আগে হেফাজত নেতাদের একটি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে দেখাও করেন। তবে হেফাজতের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে আছে।

এ অবস্থায় গত রোববার (২৫ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে আকস্মিকভাবে জুনায়েদ বাবুনগরী ফেসবুকে ভিডিওবার্তার মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা দেন। আবার এ ঘোষণার রেশ না কাটতেই রাত সাড়ে তিনটার দিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ফেসবুক পেইজ থেকে তিন সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠনের কথাও প্রচার করা হয়। পরে আরও দুজনকে সদস্য হিসেবে সংযুক্ত করার কথাও জানানো হয়।

 

সারাবাংলা/আরডি/এএম

টপ নিউজ হারুন ইজাহার হেফাজতে ইসলাম

বিজ্ঞাপন

দেশপ্রেম ও মেধা পাচার
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৪৪

আরো

সম্পর্কিত খবর