ব্যাংকে লেনদেন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা
২৮ এপ্রিল ২০২১ ১৬:০০ | আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২১ ১৮:২১
ঢাকা: চলমান লকডাউনের ধারাবাহিকতায় সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং লেনদেন ২৮ এপ্রিল থেকে আগামী ৫ মে পর্যন্ত ব্যাংক লেনদেন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রতিদিন সকাল ১০ টা দুপুর ১ টা পর্যন্ত সীমিত জনবল দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। তবে ব্যাংক লেনদেনের পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ব্যাংকিং আনুষঙ্গিক কাজ পরিচালনার জন্য ব্যাংক খোলা রাখা যাবে।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মবর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায়, বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, নতুন সময় অনুযায়ী, সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতিত গত ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল জারিকৃত সার্কুলার অনুযায়ী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে। এর মধ্যে লেনদেন হবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। পরবর্তীতে ২০ এপ্রিল জারি করা এক সার্কুলারে নির্দেশনাটি ২১ এপ্রিল ২০২১ হতে ২৮ এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২৮ এপ্রিলের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সীমিত পর্যায়ে ব্যাংকি লেনদেন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ২৮ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত লকডাউসেনর মধ্যে সীমিত ব্যাংকিং লেনদেন চলবে। এই সময়ে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতি দুই কিলোমিটারের মধ্যে প্রতিটি ব্যাংকের একটি শাখা খোলা থাকবে। এ ছাড়াও ব্যাংকের স্থানীয় ও প্রধান কার্যালয় এবং জেলা সদরের অবস্থিত ব্যাংকের প্রধান শাখা প্রতিদিন খোলা থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি ব্যাংকের একটি শাখা একদিন পরপর বৃহস্পতিবার, রোববার ও মঙ্গলবার খোলা রাখতে হবে। ব্যাংক কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিসে আনা নেওয়ার ব্যবস্থা ব্যাংক থেকে করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সমুদ্র, স্থল ও বিমান বন্দর এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখাসমূহ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সার্বক্ষণিক খোলা রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও যে ব্যাংকের যে সব শাখা বন্ধ থাকবে সে সব শাখার লেনদেন কার্যক্রম খোলা থাকা শাখা থেকে পরিচালনা করা হবে।
সারাবাংলা/জিএস/একে