বিধিনিষেধের মধ্যেও স্বাভাবিক চেহারায় ঢাকা!
২৫ এপ্রিল ২০২১ ১৫:১৯ | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২১ ১৬:৫৯
ঢাকা: দোকানপাট, শপিং মল খোলার প্রথম দিনেই রাজধানীর পথে পথে মানুষ চলাচল কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। গণপরিবহন নেই, তারপরও জট লাগছে ছোট যানবাহনের কারণেই। সরকারের দেওয়া কঠোর বিধিনিষেধের এখনো তিনদিন বাকি, কিন্তু ঢাকার সড়কগুলোতে মানুষের স্বাভাবিক চলাচলের চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। গণপরিহনের মধ্যে বাস ছাড়া অন্য সব ধরনের যানবাহনই চলছে।
রোববার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর ফার্মগেট, বিজয়স্মরণী, মহাখালী, সাতরাস্তা, মগবাজার, শাহবাগ, প্রেস ক্লাব, পল্টন ও গুলিস্তান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ফার্মগেটে কথা হয় গাড়ির চালক রফিকের সঙ্গে। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, অন্যান্য দিনের চেয়ে রাস্তায় আজ গাড়ির চাপ বেশি রয়েছে। কিছু কিছু সড়কে গাড়ির ঝটলা তৈরি হয়েছে। রাস্তায় আজ মানুষের আনাগোনাও বেশি রয়েছে। সেখানে কথা হলে মাহফুজ নামের এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য বলেন, গত কয়েকদিনের চেয়ে আজ সড়কে গাড়ি ও মানুষের চাপ বেড়েছে। মানুষ আর ঘরে থাকতে চাইছে না। মার্কেট খুলে যাওয়ার কারণে মানুষ বাইরে আসছে।
কাওরান বাজারে কথা হয় রায়হান নামের এক পথচারীর সাথে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, বসুন্ধরা সিটি মার্কেটে যাব। একটু কেনাকাটা রয়েছে। ভিড় এড়ানোর জন্যে প্রথম দিনেই যাচ্ছি। মুভমেন্ট পাস নিয়েই বের হয়েছি।
শাহবাগে কথা হয় রিকশা চালক জীবনের সঙ্গে। তিনি বলেন, গত কয়েকদিনের চেয়ে আজ রাস্তায় মানুষ বেশি থাকায় ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে। সকাল থেকে আজ ভালোই ইনকাম হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দোকানপাট ও শপিং মল খোলার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই সড়কে যানবাহনের পাশাপাশি বেড়েছে মানুষের উপস্থিতি। কঠোর বিধিনিষেধের তিনদিন বাকি থাকলেও রাজধানীতে যেন সব কিছুই স্বাভাবিক। অনেকেই মুভমেন্ট পাস ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন। মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন চলছে। একজন যাওয়ার কথা থাকলেও যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করতেও দেখা গেছে বেশিরভাগ মোটরসাইকেলকে। মোড়ে মোড়ে ডেকে যাত্রীও নিচ্ছেন ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের চালকরা।
একজন সিএনজি চালক সারাবাংলাকে বলেন, মুভমেন্ট পাসের নামে হয়রানি করা হচ্ছে। পুলিশ সদস্যরা এখন ১০০ টাকাও চাঁদা নিচ্ছে। যার কাছ থেকে যত পারে তত নেয়। কারো কাছ থেকে ১০০। কারো কাছ থেকে ৫০০। আগে অন্যায় না করলে আটকানো হতো না। লকডাউনে যা ইচ্ছা তাই করা হচ্ছে। বের হওয়ার কারণে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এএম