রোববার খুলছে শপিং মল ও দোকানপাট
২৩ এপ্রিল ২০২১ ১২:৩২ | আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২১ ১৪:০০
ঢাকা: ‘মানুষের জীবন ও জীবিকার বিষয় বিবেচনা করে’ করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ‘কঠোর বিধিনিষেধে’র মধ্যেও শপিং মল ও দোকানপাট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রোববার (২৫ এপ্রিল) থেকে শপিং মল ও দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা থেকে পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উপসচিব মো. রেজাউল ইসলামের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, ২৫ এপ্রিল থেকে দোকানপাট ও শপিং মল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসাপেক্ষে খোলা রাখা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বাজার বা সংস্থার ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
করোনাভাইরাসজনিত রোগ বিস্তার রোধে সার্বিক কার্যক্রম ও চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ব্যাপকসংখ্যক মানুষের জীবন ও জীবিকার বিষয় বিবেচনা করে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শুরু করে পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভাগীয় কমিশনার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের একান্ত সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) কাছে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণে ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি দেখা দিলে ২৯ মার্চ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউন আরোপের পরামর্শ দিচ্ছিলেন। পরে সরকার ৫ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়া, শপিং মল ও দোকানপাট বন্ধ রাখার মতো বিধিনিষেধ জারি করে। একদিন পর অবশ্য সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। এর পরদিন শপিং মল ও দোকানপাটও খুলে দেওয়া হয়।
সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ আরোপ করে। সেই বিধিনিষেধ পরে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই বিধিনিষেধের আওতায় গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া নাগরিকদের বাইরে বের হতেও নিষেধ করা আছে। এই বিধিনিষেধের আওতায় কাঁচাবাজার ও নিত্যপণ্যের দোকান ছাড়া শপিং মল ও দোকানপাটও বন্ধ ছিল। রোববার থেকে সেই বিধিনিষেধ আর থাকছে না।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর