৩৭ দিনে সর্বনিম্ন নমুনা পরীক্ষা, সংক্রমণ ২৭ দিনে সর্বনিম্ন
১৭ এপ্রিল ২০২১ ১৬:২৯ | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২১ ১৯:১৯
দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্তের পরীক্ষার পরিমাণ দিন দিন কমছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে সংক্রমণের সংখ্যা। কিন্তু নমুনা পরীক্ষা কমে যাওয়ায় সংক্রমণ কমছে বলে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার প্রায় একই রকম রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সবশেষ তথ্য বলছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ১৮৫টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৪৭৩ জনের মধ্যে। গত ১২ মার্চের পর এটিই একদিনে সর্বনিম্ন নমুনা পরীক্ষা। আর গত ২২ মার্চের পর এত কম সংক্রমণ একদিনে শনাক্ত হয়নি।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আগের দিনের মতোই দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ২৫৭টি ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এদিন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৪১৩টি। আগের দিনের নমুনাসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ হাজার ১৮৫টি। যেখানে সুনির্দিষ্টভাবে ৩৭ দিনের মধ্যে এটি সর্বনিম্ন নমুনা পরীক্ষা। গত ১২ মার্চ ১৬ হাজার ১১১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। এরপর আর একদিনে এত কম নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
নমুনা পরীক্ষা কমে যাওয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় কমেছে সংক্রমণও। আগের দিন ৪ হাজার ৪১৭ জনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৪৭৩ জনের মধ্যে। এর আগে গত ২২ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ৮০৯ জনের মধ্যে। এরপর গত ২৭ দিনে আর কখনই সংক্রমণ সাড়ে তিন হাজারের নিচে শনাক্ত হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে মোট সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ হাজার ৯০৭ জন। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়ালো ৬ লাখ ৮ হাজার ৮১৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৭০ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, শনিবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সারাদেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন মোট ৭১ লাখ ২ হাজার ৯২৫ জন। গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ফলে আগের দিনের মতোই প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যা রয়েছে ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৮৮৫ জন, দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নিয়েছেন মোট ৯ লাখ ৩০ হাজার ১৫১ জন।
সারাবাংলা/টিআর