ভারতের ভেতর দিয়ে সরাসরি রেল যোগাযোগ চায় ভুটান
১৫ এপ্রিল ২০২১ ১২:৪৯ | আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২১ ২৩:২৪
ঢাকা: বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও প্রক্রিয়া সহজ করতে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি রেলযোগাযোগ চায় ভুটান। ৫৫ বছর পর হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুটে বাংলাদেশ-ভারত পুনরায় রেল যোগাযোগ উদ্বোধন হওয়ায় এই রুট কাজে লাগাতে চায় দেশটি। এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, রেলপথের হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুট বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল যোগাযোগ। এই রুটটি ব্যাবহার করে ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। এতে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্য যোগাযোগ স্থাপন হবে। ফলে সময় ও খরচ কম লাগার পাশাপাশি পণ্যের মানও ভালো থাকবে। কিন্তু সরাসরি এই সংযোগটি ভারতের ভেতর দিয়ে যাবে। তাই ভারতের অনুমতির বিষয় রয়েছে।
গত মার্চে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের মধ্যে ভারত এবং ভুটানের সরকারপ্রধানও বাংলাদেশ সফর করেন। তখন ভুটানের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রস্তাবনা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলাপ করার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ওই সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ভারতের সরকার প্রধানের সঙ্গে আলাপও হয়।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশের আলাপের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। এ বিষয়ে সামনে দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হবে। তবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে বিষয়টি পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা কানেকটিভিটির ওপর জোড় দিয়েছি। ভুটানের সঙ্গে কানেকটিভিটি শুধু বিমান পথেই নয়, নৌ ও সড়কসহ সবক্ষেত্রেই সুদৃঢ় করতে চাই। ভুটানের সঙ্গে সরাসরি আকাশ পথ এবং সমুদ্রপথে কানেকটিভিটি স্থাপন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চিলাহাটি থেকে ভুটান সরাসরি রেল যোগাযোগ চালুর বিষয়ে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গত ২৪ মার্চ আলাপ হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রীও এই বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেছেন। যদি ভারত সম্মত হয়, তবে চিলাহাটি থেকে ভুটান পর্যন্ত সরাসরি রেল যোগাযোগ চালু হবে।’
ঢাকায় অবস্থিত ভুটানের দূতাবাসের বাণিজ্য এটাচে কেঞ্চো থিনলে জানান, প্রস্তাবিত রেল যোগাযোগ চালু হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা দূর হবে। পাশাপাশি সময় এবং খরচও বাঁচবে।
জানা গেছে, দুই দেশের মধ্যে গত ডিসেম্বরে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্যচুক্তি (পিটিএ) সই হয়। ভুটান প্রথম দেশ যাদের সঙ্গে বাংলাদেশ পিটিএ সই করল। চুক্তি অনুযায়ী ভুটান ৩৪ ধরনের পণ্য পাঠায় বাংলাদেশে, যার মধ্যে প্রধানত রয়েছে কমলা, আপেলসহ বিভিন্ন ধরনের ফলমূল। অন্যদিকে বাংলাদেশ ৯০ ধরনের পণ্য পাঠায় ভুটানে।
সারাবাংলা/জেআইএল/পিটিএম