সকালের ঢাকা ছিল জনমানব শূন্য
১৪ এপ্রিল ২০২১ ১৩:৩৪ | আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২১ ১৫:৪৪
ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারিভাবে দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে ‘সর্বাত্মক বিধিনিষেধ’ শুরু হয়েছে। চলাচলের সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞার প্রথমদিন অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে বের হতে দেখা যায়নি।
প্রথম দিন সকাল ৮টায় রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ফাঁকা রাস্তা। মাঝে মধ্যে রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স দেখা গেলেও ছিল না অন্য কোনো পরিবহন।
সকাল ১০টার দিকে কুড়িল বিশ্বরোডের অন্য প্রান্তে দেখা যায় পূর্বাচল থেকে আসার রাস্তায় বসানো হয়েছে পুলিশের চেক পোস্ট। সেখানে গাড়ি চেক করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ি কিছু দেখা গেলেও তা সংখ্যায় কম। জরুরি পাস নিয়ে গাড়িগুলো পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে প্রবেশ করছে রাজধানীতে।
১০ টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের অপর দিকে দেখা যায় পুলিশের চেক পোস্ট। মাঝে-মধ্যে দুয়েকটা গাড়ি দেখা গেলেও সেগুলো অন্যান্য দিনের তুলনায় কম। ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে বনানী চেয়ারম্যান বাড়ির দিকেও দেখা যায় প্রায় একই অবস্থা। তবে এখানে বসানো চেকপোস্টে সবার মুভমেন্ট পাস পরীক্ষা করা হচ্ছে। যদি কারো মুভমেন্ট পাস না থাকে তবে তাদের মামলা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান সেখানে দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা।
১১টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের গিয়ে বহির্বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, রোগীর সংখ্যা কম। তবে মহাখালী, আদাবরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে রোগী আসছে। কিন্তু সেটি সংখ্যায় অনেক কম। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন সরকারি ছুটি থাকায় জনসাধারণের ভিড় অনেক কম ছিল সকালের দিকে। তবে হাসপাতাল এলাকায় ভর্তি থাকা রোগীর স্বজনদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
সকাল ৮টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে।
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম