Thursday 23 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফুকুশিমার দূষিত পানি সাগরে ফেলার সিদ্ধান্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৩ এপ্রিল ২০২১ ১৯:২৮ | আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২১ ১৯:৫৫

ভূমিকম্প ও সুনামিতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রায় ১৩ লাখ টন দূষিত পানি সাগরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান। খবর রয়টার্স।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে জাপান সরকার জানিয়েছে, প্রথমদফা পানি ছাড়া হবে দুই বছরের মধ্যে। এ সময়ের মধ্যে ওই পারমাণবিক কেন্দ্র পরিচালনাকারী কোম্পানি টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার (টেপকো) দূষিত পানি পরিশোধন করে ক্ষতিকর আইসোটোপ অপসারণ শুরু, অবকাঠামো নির্মাণ এবং নিয়ন্ত্রণ সংস্থার অনুমোদনের ব্যবস্থা করবে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে কয়েক দশক সময় লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছে তারা।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া এবং ফুকুশিমার মৎসজীবী ইউনিয়ন এ পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

কিন্তু জাপান বলছে, ২০১১ সালেরর ভূমিকম্প ও সুনামিতে বিকল হয়ে যাওয়া ওই পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটিকে নিষ্ক্রিয় ও পুরোপুরি রূপান্তর করার কাজ এগিয়ে নেওয়ার জন্যই পানি নিষ্কাশন প্রয়োজন। বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক প্লান্টগুলো থেকে একই ধরনের পরিশোধিত পানি নিয়মিতভাবে ছাড়া হয়।

জাপান সরকার বলছে, প্রচলিত মানদণ্ড কঠোরভাবে মেনেই তারা মহাসাগরে পানি ফেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ফুকুশিমা দাইচি প্লান্টে প্রায় ১৩ লাখ টন দূষিত পানি বিশাল সব ট্যাঙ্কে রেখে দেওয়া হয়েছে। এর জন্য প্রতি বছর প্রায় ৯১ কোটি ২৬ লাখ ডলার ব্যয় করতে হচ্ছে আর স্থান সঙ্কুলানও হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে, দূষিত পানি থেকে শুধু ট্রিটিয়াম ছাড়া বাকি সব আইসোটোপ পরিশোধন করার পরিকল্পনা করেছে টেপকো। হাইড্রোজেনের তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ট্রিটিয়াম পানি থেকে পৃথক করা কঠিন। ট্রিটিয়ামের মাত্রা নিরাপদ সীমার নিচে না নামা পর্যন্ত ওই পানিকে আরও পাতলা করবে টেপকো, পরে তারা পাম্প করে পানি সাগরে ফেলবে, বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখ করেছে, এক দশক আগে তিনটি পারমাণবিক চুল্লিতে গলনের ঘটনা ঘটার পর থেকে এগুলোর পরিচালনার বিষয়ে জাপান আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে। তারপরও এই পরিকল্পনার বিরোধীরা ট্রিটিয়াম ও অন্যান্য দূষণের মাত্রা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে আছে।

দক্ষিণ কোরিয়া এক বিবৃতিতে গুরুতর উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে, এই সিদ্ধান্ত তাদের জনসাধারণ এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। দেশটি জাপানকে তাদের পরিকল্পনার বিষয়ে আরও তথ্য দেওয়া আহ্বান জানিয়ে বলেছে, তারা তাদের তেজস্ক্রিয়তা পরিমাপ ও পর্যবেক্ষণ জোরদার করবে। এছাড়াও, চীন এবং তাইওয়ানও জাপানের এ পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে।

অপরদিকে, ফুকুশিমার মৎসজীবী ইউনিয়ন দূষিত পানি সাগরে না ছাড়ার ব্যাপারে কয়েক বছরে ধরে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আসছে। তারা বলছে, এ পদক্ষেপ মৎস শিল্পের ওপর বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলবে।

সারাবাংলা/একেএম

জাপান সাগর দূষিত পানি ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর