বৈশাখের আগে মিলছে না বৈশাখী ভাতা!
১২ এপ্রিল ২০২১ ২৩:৫৩ | আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২১ ২৩:৫৬
ঢাকা: প্রতিবছর নববর্ষ উপলক্ষে সরকার যে বৈশাখী ভাতা দেয় সেটি এবার পহেলা বৈশাখের আগে তুলতে পারবেন না এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা। যদিও তাদের ভাতার অর্থ ইতোমধ্যে ছাড় হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষক-কর্মচারীদের বৈশাখী ভাতা বাবদ তাদের বেতনের ২০ শতাংশ টাকা ছাড় হয়েছে। রোববার (১১ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) উপপরিচালক মো. রুহুল মমিন ভাতা ছাড়ের একটি বিজ্ঞপ্তিতে সই করেন। তবে শেষ মুহূর্তে এসে অর্থ ছাড় হওয়ায় পহেলা বৈশাখের আগে এই অর্থ উত্তোলন করা সম্ভব হবে না।
মাউশির বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, ১৪২৮ বঙ্গাব্দের ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতার চেক ছাড় হয়েছে। বৈশাখী ভাতার আটটি চেক অনুদান বণ্টনকারী ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়েছে। ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ভাতার এই টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
তবে মাউশির এমন সিদ্ধান্তে মন খারাপ করেছে শিক্ষকরা। যে উৎসবের জন্য এই অর্থ সেই উৎসবের আগে যদি টাকা না-ই পাওয়া যায়, তাহলে এই ভাতা কিসের জন্য বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।
শিক্ষক নেতা নজরুল ইসলাম রনি বলেন, ‘যে ভাতাটি দেওয়া হয় সেটি প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তাও এখন সেটি দিচ্ছে অনেক দেরিতে। এটি কোনোভাবেই সভ্য আচরণ হতে পারে না। শিক্ষা কর্মকর্তারা এমপিও পাওয়া শিক্ষকদের বিষয়ে কী পরিমাণে উদাসীন এই বিষয়টি থেকেই তা উপলব্ধি করা যায়।’
রনির কথার অবশ্য সত্যতা পাওয়া যায় ভাতা দেওয়ার অন্য একটি চিত্রে। সরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা ১০ এপ্রিলের আগেই ভাতা হাতে পেয়েছেন। বৈশাখি ভাতা হাতে পেয়েছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। আর তারা ভাতা হিসেবে পেয়েছেন বেসিকের শতভাগ। যেখানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পান মাত্র ২০ শতাংশ!
উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে বৈশাখি ভাতা পাওয়া শুরু করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এবার সেই ভাতা বাবদ স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের মোট ১৪৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে।
সারাবাংলা/টিএস/পিটিএম