মমতাকে শোকজ, নির্বাচন কমিশনকে পাল্টা জবাব
৮ এপ্রিল ২০২১ ২২:২৭ | আপডেট: ৮ এপ্রিল ২০২১ ২৩:০৬
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারণায় ৩ এপ্রিল তারকেশ্বরে গিয়ে মমতা ব্যানার্জি সেখানকার মুসলিম ভোটারদের লক্ষ্য করে বলেছিলেন, বিজেপি এলে মনে রাখবেন, সমূহ বিপদ। সবচেয়ে বেশি বিপদ আপনাদের। শুধু তাই নয়, ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) নেতা আব্বাস সিদ্দিকির নাম না উল্লেখ করে মমতা বলেছিলেন, সংখ্যালঘু ভাইবোন, হাতজোড় করে বলছি, ওই ছেলেটা বেরিয়েছে বিজেপি’র টাকা নিয়ে, ওইটার কথা শুনে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করবেন না।
ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই বুধবার (৭ এপ্রিল) ভারতের নির্বাচন কমিশন থেকে মমতা ব্যানার্জিকে শোকজ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ধর্মের ভিত্তিতে ভোট চাওয়ার মাধ্যমকে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ভাঙার অভিযোগ এনেছে কমিশন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মমতাকে তার অবস্থান ব্যাখা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে মমতার।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় এক জনসভায় যোগ দিয়ে মমতা নির্বাচন কমিশনকে পাল্টা জবাব শুনিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, তাকে ১০ বার শোকজ করেও কোনো লাভ নেই; তিনি একই জবাব দেবেন।
মমতা প্রশ্ন তোলেন, নন্দীগ্রামের মুসলিমদের যারা পাকিস্তানি বলেছিল, তাদের বিরুদ্ধে ক’টা অভিযোগ হয়েছে?
এর আগে, মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) কোচবিহারে এসে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, মমতা জনসভায় যা বলেছেন, তা তিনি বললে এতো দিনে নির্বাচন কমিশনের নোটিশ পেতে হতো। সংবাদপত্রে তাকে আক্রমণ করা হতো। মমতা বলেছেন, মুসলিমরা একজোট হয়ে ভোট দাও। তিনি (মোদি) যদি বলতেন, হিন্দুরা জোট বেঁধে বিজেপি’কে ভোট দিন, তাহলে কেমন হতো, তাও ভেবে দেখতে বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নির্বাচন কমিশন থেকে ওই শোকজ নোটিশ পেয়েছেন বলি জানিয়েছে ডয়চে ভেলে।
সারাবাংলা/একেএম