এলপিজির মূল্য নির্ধারণ ১২ এপ্রিল
৮ এপ্রিল ২০২১ ১১:৪৮
ঢাকা: প্রথমবারের মতো তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজির) দাম নির্ধারণ করে দিতে যাচ্ছে সরকার। যা আগামী ১২ এপ্রিল বাংলাদেশ এনার্জী রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসির) ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এলপিজির দাম ঘোষণা করতে এরই মধ্যে প্রায় সকল প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এ উদ্যোগের ফলে এলপিজির দাম নিয়ে গ্রাহকরা যে বিড়ম্বনায় পড়তেন তা দূর হবে।
সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ জানুয়ারি এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণে বিক্রয়কারী কোম্পানিগুলোর দাম নিয়ে গণশুনানির আয়োজন করে বিইআরসি। আইন অনুযায়ী এই গণশুনানিন ৯০ দিনের মধ্যে আদেশ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সে হিসেবে আগামী ১৪ এপ্রিল সময় শেষ হচ্ছে। কমিশন নির্ধারিত সময়ের আগেই ১২ এপ্রিল এলপিজির দাম ঘোষণা করতে চায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংস্থাটির এক সদস্য জানান, এরইমধ্যে সকল প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ১৪ এপ্রিল সরকারি ছুটি এবং ১৫ এপ্রিল প্রথম রমজান হওয়ায় দুদিন আগেই মূল্য ঘোষণা করতে চায় কমিশন।
তবে নতুন ঠিক হতে যাওয়া এলপিজির দাম কেমন হতে পারে তা জানা যায়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সবদিক বিবেচনা করেই একটি স্টান্ডার্ড মূল্য ঠিক করা হয়েছে।
যদিও এর আগে গণশুনানিতে সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রতি কেজি এলপিজির দাম প্রায় ৭২ টাকা করে একটি অভিন্ন দাম নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়। কমিশন গঠিত মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সরকারি কোম্পানির সাড়ে ১২ কেজি এলপিজির দাম হয় ৯০২ টাকা এবং বেসরকারি কোম্পানিগুলোর দাম হয় ৮৬৬ টাকা। কিন্তু সরকারি কোম্পানি তাদের বর্তমান মূল্য ৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ করার জন্য কমিশনের কাছে প্রস্তাব করেছিল। আর মূল্যায়ন কমিটি আরও ২০০ টাকা বাড়িয়ে প্রতি সিলিন্ডার ৯০২ টাকা এবং বেসরকারি কোম্পানিগুলোর জন্য ১২শ ৬৯ টাকা থেকে কমিয়ে ৮৬৬ টাকা নির্ধারণ করার সুপারিশ করে।
ওই সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি গ্যাসের দাম কেন বাড়বে এমন প্রশ্ন তুলেছিলেন জ্বালানি খাত সংশ্লিষ্টরা।
তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে কমিশন। তখন মূল্য নির্ধারণ কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এক দেশে দুই রকম মূল্য থাকা ঠিক নয়। দুই দিক সমান রাখতেই প্রতি কেজি ৭২ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়।
জানা যায়, দেশে এলপিজির দাম নির্ভর করে সৌদি আরামকো নামে পরিচিত সৌদি অ্যারাবিয়ান অয়েল কোম্পানির নির্ধারিত দামের ওপর। এলপিজি তৈরির দুই উপাদান প্রপান এ বিউটেনের দাম প্রতি মাসে নির্ধারণ করে সৌদি আরামকো। বিইআরসির কারিগরি কমিটি বলছে সৌদি সিপির ভিত্তিতে এলপিজির মূল্য নির্ধারণ করা হবে। এর সঙ্গে এলসি মার্জিন, আমদানির জন্য জাহাজ ভাড়া, পরিবহন ব্যয়, ডিলার এবং আমদানিকারকদের লাভের অংশ ধরেই এই মূল্য নির্ধারনের ফর্মুলা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এলপিজির দাম নির্ধারণ নিয়ে আদালতের নির্দেশসহ নানামমুখী চাপের মুখে গত ১৪ জানুয়ারি এলপিজির দাম নির্ধারণ করতে গণশুনানির আয়োজন করে বিইআরসি। ওই শুনানিতে প্রতি মাসে এলপিজির দাম নির্ধারণের সুপারিশ করে এ সংক্রান্ত কারিগরি কমিটি। যা ঘোষণা হতে যাচ্ছে।
সারাবাংলা/জেআর/এমআই