মিরকাদিম পৌর মেয়রের বাসায় দগ্ধ ১২ জনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি
৭ এপ্রিল ২০২১ ০০:৫৭ | আপডেট: ৭ এপ্রিল ২০২১ ০১:৩৫
ঢাকা: মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার মেয়রের বাসভবনে রহস্যজনক বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছেন চার কাউন্সিলরসহ অন্তত ১২ জন। তবে পৌর মেয়র অক্ষত রয়েছেন। বিস্ফোরণে দগ্ধ ১২জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে নয়টার দিকে রামগোপালপুর এলাকায় মেয়র হাজী আব্দুস সালামের বাসভবনে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের মধ্যে মেয়রের স্ত্রী কানন বেগমের (৩৭) অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসাধীন দগ্ধ পান্না হালদার (৫০) জানান, তিনি পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার সেকশনে কাজ করেন। তার বাসা মুন্সিগঞ্জ সদরেই। অফিসিয়াল কাজে তিনি সন্ধ্যায় মেয়রের বাসায় গিয়েছিলেন। এ সময় আরও ৪-৫ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর, অফিস স্টাফ ও কর্মীরাও ছিলেন। তখনই চারতলা বাসার চতুর্থ তলাতে হঠাৎ বিকট আওয়াজে বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে রুমের ভিতরে থাকা সবাই কম-বেশি দগ্ধ হন। তবে দগ্ধ অনেকের দাবি এটি ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সাইফুল আযম খান বলেন, আমাদের এখানে ১২ জনকে দগ্ধ অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে কানন বেগম নামে এক নারীকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। তার শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বাকি ১০ জনের শরীর ৮ থেকে ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।’
চিকিৎসাধীন বাকি দগ্ধরা হলেন- ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আওলাদ হোসেন (৪০), ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী দ্বীন ইসলাম (৬০), পৌরসভার সচিব সিদ্দিকুর রহমান (৩৮), মেয়রের পিএস যুবলীগ কর্মী মো. তাজুল ইসলাম (২৬), মো. হোসেন কালু (৫০), আমিন আহ মাইনুদ্দিন (৪৫), পৌরসভা অফিসের নিরিপত্তা কর্মী মো. মনির হোসেন (৪৮), নৈশ্য প্রহরী শ্যামল চন্দ্র দাস (৪৫), মেয়রের কর্মী মোশারফ হোসেন (৪০)।
এদিকে আমাদের মুন্সীগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, বিস্ফোরণে কক্ষের আসবাবপত্র, জানালার কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের লাইনের লিকেজ থেকে ঘরে গ্যাস ছড়িয়ে থাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। সে সময় মেয়ের স্ত্রী রান্নার জন্য গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রয়েছেন। তারা এ বিষয়ে বলতে পারবেন। তবে বর্তমানে পুলিশও ঘটনাস্থলে গিয়েছে।’
সারাবাংলা/এসএসআর/পিটিএম