ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরে বন্যা-ভূমিধস, মৃত্যু বেড়ে ১৫৭
৬ এপ্রিল ২০২১ ১৫:২৫ | আপডেট: ৬ এপ্রিল ২০২১ ১৯:২৬
ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরে আকস্মিক বন্যা-ভূমিধসে মৃত মানুষের সংখ্যা ১৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) উদ্ধারকারী কর্মকর্তাদের বরাতে এ খবর জানিয়ছে আল-জাজিরা।
এর আগে, রোববার (৪ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকালে ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ওয়েস্ট নুসা তেঙ্গারায় হঠাৎ বন্যার ঘটনা ঘটে। তার প্রভাব পড়ে প্রতিবেশি পূর্ব তিমুরের ওপরও।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, মৌসুমী ঝড় সেরোজার প্রভাবে বন্যা উপদ্রুত এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বাড়িঘর ভেসে গেছে, শিকড়সহ উপড়ে গেছে গাছপালা। ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরের ওই সব এলাকায় অসংখ্য মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাই নিয়েছেন।
এদিকে, ওই অঞ্চলে এখনো ঘূর্ণিঝড় চলছে। ফলে উদ্ধারকাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগবিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, পূর্ব তিমুরে এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বেশির ভাগ মৃত্যুই হয়েছে পূর্ব তিমুরের রাজধানী দিলিতে।
উদ্ধারকর্মীরা এএফপিকে বলেছেন, ইন্দোনেশিয়ায় খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে উদযাপনের কয়েক ঘণ্টা আগে ক্যাথলিক খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ ফ্লোরেস দ্বীপে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যায়, অনেক সেতু ও রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়।
এ ব্যাপারে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র রাদিত্য জ্যোতি বলেছেন, দুর্গম এলাকা হওয়ায় উদ্ধার কার্যক্রম চালানো কঠিন হচ্ছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি সামনের সপ্তাহে আরও খারাপ হতে পারে।
অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বন্যায় হতাহত হওয়ার ঘটনায় গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেছেন, এই দুর্যোগের কারণে যে অপরিসীম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তা তিনি অনুভব করতে পারছেন।
অপরদিকে, বন্যা উপদ্রুত ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরের সংশ্লিষ্ট এলাকায় এখন ভুক্তভোগীরা খাবার, ওষুধ ও কম্বলের অভাবে রয়েছেন। পূর্ব তিমুরে প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে তাদের বাসস্থান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখনো সেখানে অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের বিষয়ে কাজ করছে উদ্ধারকারী দল।
সারাবাংলা/একেএম