Saturday 04 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আজ থেকে ১ সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৫ এপ্রিল ২০২১ ০৪:৩৭ | আপডেট: ৫ এপ্রিল ২০২১ ০৪:৪১

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমন মোকাবিলায় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। যা সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। এই সাত দিন সরকার যে সকল বিধিনিষেধ দিয়েছে তার প্রতিপালন কঠোরভাবে নিশ্চিত করা হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

রোববার (৪ এপ্রিল) জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় শর্ত সাপেক্ষে সকল কার্যবিধি এবং চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো.শাফায়াত মাহবুব চৌধুরী এই সাত দিন করোনা সংক্রমন রোধে ১১ দফা নির্দেশনার অধীনে দেশ পরিচালিত হবে।

এই সময়ের মধ্যে গণ পরিবহন (সড়ক, নৌ বিমান, যাত্রিবাহী ট্রেন) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা, জরুরি সেবার ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না। বিদেশগামী ও বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিসেবা (ত্রাণ বিতরণ, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস), বন্দরসমূহের ( স্থল, নদী ও সমুদ্র বন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ডাক সেবাসহ জরুরি এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে জড়িত অফিসসমূহ তাদের কর্মচার্রী ও যানবাহন এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে,  সকল সরকারি, আধা-সরকারি, সায়ত্ত্বশাসিত অফিস, আদালত এবং বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নিয়ে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় খোলা থাকতে পারবে। তবে শিল্প কারখানা চালু থাকবে। ওইসব কারখানা কর্তৃপক্ষ নিজ ব্যবস্থাপনায় কর্মীদের আনা-নেওয়া করবে। বিজিএমইএ/বিকেএমইএ কর্তৃক কারখানা এলাকায় নিকটবর্তী সুবিধাজনক স্থানে তাদের শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করবে।

বিজ্ঞাপন

দেশব্যাপী সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন (ওষুধ, জরুরি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়, চিকিৎসাসেবা গ্রহণ, মৃতদেহ সৎকার) ব্যতীত কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না।

তবে, খাবারের দোকান এবং হোটেল-রেস্তোরাগুলো খাবার বিক্রয়/সরবরাহ করতে পারবে। তবে, কেউ দোকানে বসে কোনো অবস্থাতেই খাবার খেতে পারবেন না।

কিন্তু শপিং মল ও অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। দোকানগুলো পাইকারি ও খুচরা পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মচারীরা পণ্য ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে দেবেন। কোনোক্রমেই ক্রেতা সশরীরে দোকানে হাজির হতে পারবেন না।

অপরদিকে কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যাংক ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে রাজধানীর কোনো সুবিধাজনক স্থানে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে বলা হয়েছে।

সারাদেশের জেলা এবং মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন উল্লেখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করবে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে বলেও ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় নির্বাহী বিভাগ থেকে আরোপিত এই সব নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে সতর্ক করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সারাবাংলা/জেআর/একেএম

১১ দফা নির্দেশনা করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা কোভিড-১৯ টপ নিউজ নভেল করোনাভাইরাস মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ

বিজ্ঞাপন

না ফেরার দেশে অঞ্জনা
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৪

এই তাসকিনকে সমীহ করবেন যে কেউ
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৪৭

আরো

সম্পর্কিত খবর