লকডাউনের খবরে নিত্যপণ্যের দোকানে ভিড়, দাম আগের মতোই
৩ এপ্রিল ২০২১ ২০:৩৮ | আপডেট: ৩ এপ্রিল ২০২১ ২৩:২৫
ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগামী ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এই খবরের পর বেড়ে গেছে রাজধানীর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বেচাকেনা। সেইসঙ্গে এসব প্রয়োজনীয় পণ্যের দামও আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।
তবে, গত বছরের মার্চ মাসের লকডাউনের সময় যেভাবে জিনিসপত্রের দাম ও চাহিদা বেড়েছিল এবার তেমন হয়নি। বরং সাধারণ মানুষ কিছুটা দেখেশুনেই কেনাকেটা করছেন। গতবছরের মতো এবার লকডাউনের খবরে হুমড়ি খেয়ে বেশি বেশি জিনিসপত্র কিনে মজুদ করার প্রবণতাও খুব একটা চোখে পড়েনি।
শনিবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিল এজিবি কলোনী কাঁচাবাজার এবং রাজধানীর খিলগা কলোনী কাঁচাবাজারে সরেজমিন ঘুরে এসব চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
এসব বাজারগুলোতে দেখা গেছে কোনো কোনো দোকানে ক্রেতাদের অন্যদিনের তুলনায় একটু বেশি ভিড়। এই সুযোগে কোনো কোনো দোকানে দামও আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। তবে অধিকাংশ দোকানদার দাম বেশি রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে মতিঝিল সরকার কলোনী কাঁচাবাজারের কাজল ব্রাদার্স স্টোরের মালিক মো. কাজল মিয়া শনিবার সন্ধ্যায় সারাবাংলাকে বলেন, ‘লকডাউনের খবরে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কেনাবেচা কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু দাম আগের মতো রয়েছে।’
একই অভিযোগ করেছেন খিলগাও বাজারের মুদি দোকানদার মিঠু মিয়া। তিনি বলেন, ‘এবার লকডাউনের খবরে মানুষ হুমড়ি খেয়ে কেনাকাটা করছেন না। কারণ হিসাবে তিনি জানান, গত বছর লকডাউনের সময়েও অনেকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিসপত্র কিনে মজুদ করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন। কারণ লকডাউনের পরবর্তী সময়ে জিনিসপত্রের দাম না বেড়ে বরং ধীরে ধীরে আরও কমে গিয়েছিল। এছাড়া লকডাউনের মধ্যেও প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দোকানপাঠ খোলা ছিল এবং এবারও থাকবে। ফলে এবার লকডাউন নিয়ে গত বছরের মতো সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক নেই। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লকডাউনের খবরে নতুন করে বাড়েনি।’
এদিকে মতিঝিল কাঁচা বাজারের বকুল স্টোর থেকে পেঁয়াজ, রসুন, আদা কিনেছেন কামরুল ইসলাম। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘পেয়াঁজ ৩৬ টাকা কেজি, আদা ১০০ টাকা, রসুন ১১০ টাকা কেজি করে কিনছি। দাম খুব একটা বাড়েনি।’
একই কথা বলেন দোকানদার বকুল মিয়াও। তিনি জানান, লকডাউনের খবরে কোনো কিছুর দাম বাড়েনি বরং গত কয়েকদিন যে দামে পণ্য বিক্রি করেছি আজও একই দামে বিক্রি করিছি। তবে আজ বিক্রি কিছুটা বেড়েছে।
এদিকে কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এদিন মসুরের ডাল ১১০ টাকা, খেসারির ডাল ৯০ টাকা, ছোলা ৮০ টাকা, চিনি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, আলু ২০ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, রসুন ১১০ টাকা, আদা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, সোয়াবিন তেল সরকারের বেঁধে দামেও বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সরিষার তেল ২০০ থেকে ২২০ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে।
সারাবাংলা/জিএস/এমআই