সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মানা হয়নি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ
২ এপ্রিল ২০২১ ২৩:৩৭ | আপডেট: ৩ এপ্রিল ২০২১ ১৫:৪৩
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে মানা হয়নি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে জানিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি দেওয়া হয় ২৫ মার্চ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করা হয়।
সারাবাংলার কাছে এ প্রস্তাবনার কপিটি এসেছে। পরামর্শগুলো ২৫ মার্চ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পাঠানো হয়। চিঠিতে দুইটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। প্রথম প্রস্তাবনায় (প্রস্তাবনা-ক) ২১টি পরামর্শ দেওয়া হয়। দ্বিতীয় প্রস্তাবনায় (প্রস্তাবনা-খ) আরও ১৮টি পরামর্শ দেওয়া হয় যা দেশের যেসব স্থানে কম সংক্রমণ আছে সেখানের জন্য দেওয়া হয়।
প্রস্তাবনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো সুপারিশে জনসমাগম, কোনো ধরনের পরীক্ষা গ্রহণ না করার বিষয়ে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে প্রয়োজনে উচ্চ সংক্রমিত এলাকাতে লকডাউন করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তীতে সরকারের পক্ষ থেকেও ২৯ মার্চ ১৮ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয় যেখানে কম সংক্রমিত এলাকার প্রস্তাবনাকে সারাদেশের জন্য দেওয়া হয় নির্দেশনা আকারে।
স্বাস্থ্য সচিব বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ২০২১ সালের মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশে সংক্রমণের উচ্চ হার পরিলক্ষিত হচ্ছে। এমন অবস্থায় কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রস্তাবনা পাঠানো হলো।
প্রস্তাবনার বিষয়ে উল্লেখের আগে দেশের সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে জানানো হয়। এতে বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের পাশাপাশি করোনা সংক্রমণের জন্য দেশের মানুষের মাস্ক না পরার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে মাত্র ৪০ শতাংশ জনগণ মাস্ক ব্যবহার করে, ২৪ শতাংশ জনগণ নিয়মিত হাত ধৌত করে বলেও উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশ্লেষণ মতে, একই হারে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে এবং কোনো ধরনের কঠোর পদক্ষেপ না নিলে পরবর্তী দুই সপ্তাহে দেশে করোনা সংক্রমণ দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এরইমধ্যে লকডাউনসহ বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশেও উপর্যুক্ত অবস্থা পর্যালোচনা করে দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে অতিশীঘ্র কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান উচ্চ সংক্রমণ ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, রাঙ্গামাটি জেলা থেকে শুরু হয়ে বর্তমানে দেশের ২০ টি জেলা (ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ফেনী, চাঁদপুর, নীলফামারী, সিলেট, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, কুমিল্লা রাজবাড়ী, শরীয়তপুর খুলনা, নরসিংদী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, মাদারীপুর, নওগাঁ, রাজশাহী) উচ্চ মাত্রায় সংক্রমণ রয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে কোভিড-১৯ রোগতাত্ত্বিক ও জনস্বাস্থ্য কার্যক্রম বিষয়ক কমিটি দেশে কোভিড-১৯ এর বর্তমান সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে তাদের প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের আবেদন জানায়।
আরও পড়ুন
২৩৫ দিন পরে সংক্রমণের হার ২৩.২৮ শতাংশ
‘সরকারের উদাসীনতায় করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে’
একদিনে সর্বোচ্চ ৬৮৩০ সংক্রমণ শনাক্তের নতুন রেকর্ড
করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে ৩১ জেলা
প্রস্তাবনাগুলো:
কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে উচ্চ সংক্রমিত জেলাগুলোর জন্য করণীয় (প্রস্তাবনা-ক)
যেসব জেলায় ১০ শতাংশের বেশি সংক্রমণের হার রয়েছে সেখানে ন্যূনতম তিন সপ্তাহের জন্য করণীয় উল্লেখ করে এই প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।
১. সকল ধরনের (সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/অন্যান্য) জনসমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। কমিউনিটি সেন্টার/কনভেনশন সেন্টারে বিয়ে/জন্মদিন/ সভা/ সেমিনার ইত্যাদি অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা ।
২. বাড়িতে বিয়ে/জন্মদিন ইত্যাদি অনুষ্ঠানে জনসমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
৩. মসজিদসহ সকল উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ন্যূনতম উপস্থিতি নিশ্চিত করা (ওয়াক্তিয়া নামাজে ৫ এর অধিক নয় এবং জুম্মার নামাজে ১০ এর অধিক নয়)।
৪. পর্যটন/বিনোদন কেন্দ্র/সিনেমা হল/থিয়েটার হল সকল ধরনের মেলা বন্ধ রাখা
৫. উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাতে আন্তঃজেলা যান চলাচল বন্ধ থাকা। অভ্যন্তরীণ বিমানে ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী পরিবহন না করা নিশ্চিত করা।
৬. আন্তঃজেলা যান পরবিহন সীমিত করা (ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী পরিবহন না করা)। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা।
৭. সকল আন্তর্জাতিক যাত্রী চলাচল (স্থল/বিমান/সমুদ্র) সীমিত করা। বিদেশ হতে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক (হোটেলে নিজ খরচে) কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৮. নিত্য প্রয়োজনীয় ও জরুরী দ্রব্যাদির ক্রয়/বিক্রয় খোলা/উন্মুক্ত স্থানে নিশ্চিত করা। ওষুধের দোকানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা।
৯. শপিংমল বন্ধ করা।
১০. সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (সব মাদ্রাসা, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক,মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা।
১১. সব স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে সেবা গ্রহীতা, সেবা প্রদানকারী ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সর্বদা নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা।
১২. স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা করা।
১৩. বাড়ির বাইরে জনগণের অপ্রয়োজনীয় ঘোরাঘুরি/জনসমাগম/আড্ডা বন্ধ করা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ৮টার পরে উন্মুক্ত চলাচল বন্ধ রাখা।
১৪. হোটেল রেস্তোরাঁ সমূহে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা বন্ধ রাখা। তবে হোটেল-রেস্তোরাঁ সমূহ থেকে খাবার কিনে বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন।
১৫. প্রয়োজনে বাইরে গেলে প্রত্যেক ব্যক্তিকে বাড়ির বাইরে সর্বদা নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা। মাস্ক না পরলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৬. করোনা উপসর্গ/লক্ষণযুক্ত সন্দেহজনক ও নিশ্চিত করোনা রোগীর আইসোলেশন ও করোনা পজিটিভ রোগীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
১৭. জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সকল অফিস/শিল্প কারখানা বন্ধ রাখা। জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রতিদিন ৩৩ ভাগ কর্মকর্তা/কর্মচারীর দ্বারা কর্ম সম্পাদন করা। অসুস্থ/গর্ভবতী/৫৫ বছরের ঊর্ধ্ব কর্মকর্তা/কর্মচারীর বাড়িতে থেকে অফিস নিশ্চিত করা।
১৮. অফিসে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন সর্বদা বাধ্যতামূলকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করা।
১৯. প্রতিষ্ঠানসমূহের সকল সভা, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, সেমিনার অনলাইনে করা।
২০. স্বশরীরে উপস্থিত হতে হয় এমন যে কোন ধরনের পরীক্ষা স্থগিত রাখা।
২১. প্রয়োজনে উচ্চ সংক্রমিত এলাকাতে লক-ডাউন করা।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে উচ্চ সংক্রমিত জেলাগুলোর জন্য করণীয় (প্রস্তাবনা-খ)
দেশের যেসব স্থানে এখনো সংক্রমণ ১০ শতাংশের কম আছে সেসব স্থানে করণীয় বিষয়ে মূলত এই প্রস্তাবনা গুলো দেওয়া হয়। এটিও ন্যুনতম তিন সপ্তাহের জন্য কার্যকর করার অনুরোধ জানানো হয়। প্রস্তাবনা গুলো হলো-
কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ন্যূনতম করণীয়
১. সকল ধরনের (সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/অন্যান্য) জনসমাগম সীমিত করা। উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলাকাতে সকল ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা। বাড়িতে বিয়ে/জন্মদিন/ যে কোন সামাজিক অনুষ্ঠান নিরুৎসাহিত করা।
২. মসজিদসহ সকল উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা।
৩. পর্যটন/বিনোদন কেন্দ্র/সিনেমা হল/থিয়েটার হল/ সকল ধরনের মেলা সীমিত করা।
৪. গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী পরিবহন না করা নিশ্চিত করা । ৫. উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাতে আন্ত:জেলা যান চলাচল বন্ধ থাকা।
৬. বিদেশ হতে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক (নিজ খরচে) কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৭. নিত্য প্রয়োজনীয় ও জরুরী দ্রব্যাদির ক্রয়/বিক্রয় খোলা/উন্মুক্ত স্থানে নিশ্চিত করা। ওষুধের দোকানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা।
৮. সকল স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে সকলের সর্বদা নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা।
৯. শপিং মলে বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়েরই কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিশ্চিত করা।
১০. সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (সকল মাদ্রাসা, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক,মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা।
১১. বাড়ির বাইরে জনগণের অপ্রয়োজনীয় ঘোরাঘুরি/ জনসমাগম/আড্ডা বন্ধ করা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০টার পরে উন্মুক্ত চলাচল বন্ধ রাখা।
১২. প্রয়োজনে বাইরে গেলে প্রত্যেক ব্যক্তিকে বাড়ির বাইরে সর্বদা নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা। মাস্ক না পরলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৩. করোনা উপসর্গ/লক্ষণযুক্ত সন্দেহজনক ও নিশ্চিত করোনা রোগীর আইসোলেশন ও করোনা পজিটিভ রোগীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
১৪. জরুরী সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সকল অফিস/শিল্প কারখানাসমূহে প্রতিদিনে ৫০ ভাগ কর্মকর্তা/কর্মচারীর দ্বারা কর্ম সম্পাদন করা। গর্ভবতী/ অসুস্থ/ বয়স ৫৫-ঊর্ধ্ব কর্মকর্তা/কর্মচারীর বাড়িতে থেকে অফিস নিশ্চিত করা।
১৫. হোটেল-রেস্তোরাঁ সমূহে ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক মানুষকে প্রবেশ করতে না দেওয়া।
১৬. অফিসে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন সর্বদা বাধ্যতামূলকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করা।
১৭. প্রতিষ্ঠানসমূহের সকল সভা, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, সেমিনার অনলাইনে করা।
১৮. সশরীরে উপস্থিত হতে হয় এমন যে কোন ধরনের পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিশ্চিত করা।
মূলত প্রস্তাবনা-খ এর এই পরামর্শগুলোই দেখা যায় পরবর্তীতে সরকারের পক্ষ থেকেও ২৯ মার্চ ১৮ দফা নির্দেশনা আকারে দেওয়া হয়। কম সংক্রমিত এলাকার প্রস্তাবনাকে সারাদেশের জন্য দেওয়া হয় নির্দেশনা আকারে।
আরও পড়ুন
স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিবের পরিবারের সদস্যরা করোনায় আক্রান্ত
চট্টগ্রামে রেকর্ড ৫১৮ জনের করোনা শনাক্ত, একজনের মৃত্যু
করোনায় চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মৃত্যু
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডা. নাসিমা সুলতানা করোনায় আক্রান্ত
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ‘দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এমন অবস্থায় আমরা আমাদের পরামর্শ জানিয়েছি। হয়তোবা সরকার ভাবছে আরও দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করবে পরিস্থিতি বোঝার জন্য। আশা করছি, এর পরে অন্তত প্রস্তাবনা-ক এর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে তখন দেরি না হলেই চলে। আর তাই আশা করছি খুব দ্রুত কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিন্তু পরামর্শ জানাতে পারে তবে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে সবাইকে মিলে।’
পরামর্শের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক সারাবাংলাকে বলেন, ‘যে কোনো সিদ্ধান্ত সবাই মিলেই নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একভাবে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। অন্যান্য মন্ত্রণালয় থেকেও প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। সবকিছু মিলিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এটাই তো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে যদি প্রয়োজন হয় তবে অন্য সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে।’
সারাবাংলা/এসবি/একে