বিএনপির সব ধরনের কর্মকাণ্ড স্থগিত
৩১ মার্চ ২০২১ ২২:৩৫ | আপডেট: ১ এপ্রিল ২০২১ ১০:৫৫
ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির ‘চরম অবনতি’ ঘটায় সব ধরনের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তবে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে জরুরি সংবাদ ও আলোচনাসভা চলমান থাকবে।
বুধবার (৩১ মার্চ) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির এক জরুরি সভায় এস সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠক সূত্র সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বৈঠক সূত্র বলছে, দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির ‘চরম অবনতি’ঘটেছে বলে মনে করছে বিএনপি। এ পরিস্থিতিতে আপাতত দলের সব ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দলটি কোনো ধরনের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে না। তবে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সংবাদ সম্মেলন, আলোচনা সভা, ওয়েবিনারের মতো কর্মসূচিগুলো চলমান থাকবে।
এদিকে, বুধবার রাত ১১টার দিকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক) সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের উদাসীনতার ফলে কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে জনগণ ও দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিবেচনায় বিএনপির রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হলো। তবে ফোন, সামাজিক গণমাধ্যম ও অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের পারস্পরিক যোগাযোগ ও কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিএনপি জনগণ এবং দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থকদের প্রতি করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়া, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ দিনে বিএনপির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া সাংগঠনিকভাবে সবচেয়ে সক্রিয় নেতাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গত কয়েকদিনের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
উল্লেখ, গত কয়েকদিনে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রেকর্ড ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা ও করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার এরই মধ্যে জনসমাগম এড়িয়ে চলা, অর্ধেক জনবল দিয়ে অফিস-কারখানা পরিচালনা করা, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণসহ ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের মতো ১৮টি নির্দেশনা দিয়েছে।
করোনা সংক্রমণের চলমান এই পরিস্থিতিতে এরই মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে হাতে নেওয়া কর্মসূচি আগেই স্থগিত করেছিল বিএনপি। এবারে তারা সব ধরনের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নিলো।
সারাবাংলা/এজেড/টিআর
বিএনপি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড স্থগিতের সিদ্ধান্ত