এবারের ডি-৮ সম্মেলনে গুরুত্ব পাবে ৬টি খাত
৩১ মার্চ ২০২১ ১৬:২২ | আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২১ ১৬:২৪
ঢাকা: উন্নয়নশীল আট দেশের জোট বা ডি-এইট রাষ্ট্রগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের দশম সম্মেলন আগামী পাঁচ থেকে আট এপ্রিল ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ এবারের সম্মেলনের স্বাগতিক দেশ।
দশম শীর্ষ সম্মেলনে বাণিজ্য, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, শিল্প সহযোগিতা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, পরিবহন, জ্বালানী ও খনিজসম্পদ এবং পর্যটন—এই ছয়টি খাতে উন্নয়নশীল আট দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়ে সম্মিলিত নীতিগত অবস্থান গ্রহণ করা হবে। এবারের শীর্ষ সম্মেলনে ‘সদস্য দেশগুলোকে নিয়ে আগামী ১০ বছরের পরিকল্পনা’ এবং ‘ঢাকা ঘোষণা-২০২১’ গ্রহণ করা হবে। এবারের শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘রূপান্তরিত বিশ্বের জন্য অংশীদারিত্ব: যুব এবং প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগানো’।
আসন্ন ডি-৮ সম্মেলন উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বুধবার (৩১ মার্চ) প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সম্মেলন সফলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন। ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৯৯৭ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন এবং এর আগে বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালে ঢাকায় দ্বিতীয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনটি সফলভাবে আয়োজন করেছিল।’
সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিল্পবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে ডি-৮ রাষ্ট্রগুলো যাতে খাপ খাইয়ে চলতে পারে, সেদিকে খেয়াল রেখে এবারের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে। ডি-৮ অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহের যুব সম্প্রদায় যাতে তাদের সুপ্ত সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চভাবে বিকশিত করে নিজ নিজ দেশের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে অংশগহণ করতে পারে সে প্রত্যাশাকে সামনে রেখে সম্মেলনটির আয়োজক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এবারের শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় ঠিক করেছে।’
এই সম্মেলনের স্বাগতিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আগামী দুই বছর ডি-৮-এর চেয়ারের দায়িত্ব পালন করবে’, এই তথ্য জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের শীর্ষ সম্মেলনে বর্তমান ডি-৮ চেয়ার তুরস্ক, বাংলাদেশকে ডি-৮ চেয়ারের দায়িত্ব হস্তান্তর করবে। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে একইসঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষ উদযাপিত হচ্ছে। এ ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণে ঢাকায় দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনপূর্বক বাংলাদেশ উক্ত সংস্থাটির পরবর্তী দুই বছরের সভাপতিত্ব লাভ করলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা তুলে ধরার নতুন দ্বার উন্মোচন এবং বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে প্রতীয়মান হয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক সভা হিসেবে আগামী ৭ এপ্রিল ভার্চুয়াল মাধ্যমে ১৯-তম ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে ৫ ও ৬ এপ্রিল ৪৩তম ডি-৮ কমিশন পর্যায়ের বৈঠক ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে।
সারাবাংলা/জেআইএল/এমআই