Thursday 23 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়াল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৯ মার্চ ২০২১ ১৬:৩৪ | আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২১ ১৮:৫৭

ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার একবছর ২০ দিন পর, সুনির্দিষ্টভাবে বললে ৩৮৭ দিনের মাথায় আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ছুঁই ছুঁই। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টাতেই দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ১৮১ জনের শরীরে। দেশের ইতিহাসে একবছর পেরিয়ে এসে এদিনই সংক্রমণ শনাক্তের নতুন রেকর্ড হলো। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৫ জন, যা গত সাত মাসের মধ্যে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যায় সর্বোচ্চ।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৯ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরার সই করা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে, যা আজ ছয় লাখ ছাড়িয়ে গেল।

৮ মার্চ প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের পর একশ সংক্রমণ ছাড়ায় ৬ এপ্রিল। ৮ দিনের মাথায় ১৪ এপ্রিল তা ছাড়িয়ে যায় হাজারের ঘর। সংক্রমণ ১০ হাজার ছাড়ায় ৪ মে। এরপর ২ জুন ৫০ হাজার পেরিয়ে সংক্রমণ লাখের ঘর পেরিয়ে যায় ১৮ জুন।

একমাস পর ১৮ জুলাই করোনা সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় দুই লাখ দুই হাজার ৬৬ জনে। এরপর থেকেই সংক্রমণে দেখা যায় কিছুটা ধীর গতি। দুই লাখ সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার এক মাস আট দিন পর ২৬ আগস্ট তিন লাখ এবং এর দুই মাস পর ২৬ অক্টোবর চার লাখের সীমা অতিক্রম করে সংক্রমণ।

আরও প্রায় দুই মাস পর ২০ ডিসেম্বর সংক্রমণ ছাড়ায় পাঁচ লাখ। আর সবশেষ তিন মাস ৯ দিনে আরও এক লাখ নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ায় আজ ২৯ মার্চ ছয় লাখ পেরিয়েছে সংক্রমণের সংখ্যা।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানো করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি রয়েছে। একইসঙ্গে দেশের মানুষের মধ্যেও মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিয়ে অসচেতনতা কাজ করছে। ফলে দেশে সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সারাবাংলাকে বলেন, ‘সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি একটি কারণ হতে পারে। তবে সেটিই মূল কারণ নয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতি উদাসীনতাই সম্ভবত সবচেয়ে বড় কারণ। এ পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া জনসমাগম এড়িয়ে চলা উচিত। একইসঙ্গে মাস্ক পরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

বিজ্ঞাপন

ডা. ফ্লোরা বলেন, ভ্যাকসিন নেওয়র পর অনেকেই ‘রিল্যাক্স’ হয়ে ঘুরছেন। এটাও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে আমাদের জন্য। কারণ, ভ্যাকসিন দিলেই সবার মাঝে অ্যান্টিবডি গড়ে উঠবে আর করোনা সংক্রমণ হবে না— এমন কিন্তু কোথাও বলা হয়নি। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানাও বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘সরকার সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। আরও হাসপাতালকে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড করা হচ্ছে। কিন্তু তবে আমাদের স্বাস্থ্যবিধিটা বেশি করে মানতে হবে, যেন হাসপাতালে কাউকে না আসতে হয়।’

সারাবাংলা/এসবি/এনএস

আক্রান্ত করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ টপ নিউজ শনাক্ত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর