বায়তুল মোকাররমের সামনে হেফাজতের বিক্ষোভ মিছিল
২৭ মার্চ ২০২১ ১৫:০৯ | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২১ ১৮:৫৬
ঢাকা: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে ঘিরে সংঘর্ষ ও মৃত্যুর ঘটনায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে হেফাজতে ইসলাম। শনিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম।
এসময় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘গতকাল ২৬ মার্চ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির সুবর্ণজয়ন্তীর আনন্দঘন একটি দিবস। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে বলতে হয়, সরকারি দলের সন্ত্রাস ও রক্ত পিপাসায় সব ম্লান হয়ে গেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এমন বিষাদময় হবে, দেশের সন্তানদের রক্তে বাংলাদেশের মানচিত্র রঞ্জিত হবে এমনটা আমরা কেউ চাইনি। আমরা বরাবরের মতো সরকারকে সতর্ক করছিলাম। নরেন্দ্র মোদির মতো নরঘাতককে এই দেশের জাতীয় উৎসবে এনে উৎসবকে কলঙ্কিত করবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এদেশের মানুষ নরেন্দ্র মোদিকে বরদাস্ত করবে না। যার হাতে বাবরি মসজিদের শাহাদাতের রক্তের দাগ লেগে আছে, যার হাতে কাশ্মিরের মুসলমানদের রক্তের দাগ লেগে আছে, গুজরাটের কসাই হিসেবে গোটা পৃথিবী যাকে চিনে তাকে আমরা মেনে নিতে পারি না।’
পাঁচ জনের মৃত্যর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গতকাল হাটহাজারীতে চারজনের রক্ত ঝরেছে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজনের রক্ত ঝরেছে। ঢাকার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঢুকে সরকার দলীয় ছাত্র ও যুব সংগঠনের সন্ত্রাসীরা জুমার নামাজের সময় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।’
পরে আগামীকাল দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল সফল করার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজত মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম আগামীকাল সকাল-সন্ধ্যা হরতাল সফলের আহ্বান জানান। পরে তিনি জোহরের নামাজের আগে মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন।
বিক্ষোভ মিছিলে হেফাজতের নায়েবে আমির মাহফুজুল হক, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল করিম কাসেমী ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব শাখাওয়াত হোসেন গাজী, হাসান জামিল, মুসা বিন ইজহার, ঢাকা মহানগরের সহ-সভাপতি আহমদ আলী কাসেমী, মোহাম্মদ জুবায়ের, অর্থ সম্পাদক মনির হোসেন কাসেমী প্রমুখ।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এসএসএ