Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভারতের উপহার হিসেবে দেশে এলো আরও ১২ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৬ মার্চ ২০২১ ১৯:৩৯

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে উপহার হিসেবে ভারতের পক্ষ থেকে দেওয়া ১২ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে এসেছে। মহান স্বাধীনতা দিবসের উপহার হিসেবে এই ১২ লাখ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দিয়েছে ভারত।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ভারত থেকে ভ্যাকসিন বহনকারী ফ্লাইট দেশে এসেছে বলে সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান।

বিজ্ঞাপন

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘দুপুর পৌনে দুইটার দিকে টিকা ভ্যাকসিন বহনকারী ফ্লাইট বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। এখান থেকে সেগুলো তেজগাঁওয়ের ইপিআই কোল্ড স্টোরেজে পাঠানো হয়েছে।’

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. শামসুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘এই ১২ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন তেজগাঁয়ের ইপিআই ক্লোল্ড স্টোরেজে রাখা হয়েছে।’

এর আগে, গত ২১ জানুয়ারি উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ২০ লাখ চার হাজার ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন পাঠায় ভারত। এদিন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী এক অনুষ্ঠানে ভ্যাকসিন হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ শাহরিয়ার আলমসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

গত বছরের ৫ নভেম্বর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই করে। চুক্তির আওতায় সিরাম ইনস্টিটিউট তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে রফতানি করবে বলে জানানো হয়েছে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন বাংলাদেশে প্রতিমাসে ৫০ লাখ ডোজ করে সরবরাহ করার কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

এই চুক্তির আওতায় প্রথম চালানে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি আসে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে আসে। পরবর্তীতে ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ তারিখ আসে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন। এখন আরও আসছে ১২ লাখ ডোজ।

উল্লেখ্য, ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন মোট ২৬ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।

পরদিন ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় ৫৪১ জনকে। এই ৫৬৭ জনকে ১০ দিন পর্যবেক্ষণের পর ৭ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু হয়। ওই দিন ৩১ হাজার ১৬০ জন ভ্যাকসিন নেন। ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পর্যায়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৩৯ দিনে ৫১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫৬ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন।

আগামী ৮ এপ্রিল থেকে দেশে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।

সারাবাংলা/এসবি/এমও

ভারতের উপহার ভ্যাকসিন

বিজ্ঞাপন

শেষ কবে এতটা নিচে ছিলেন কোহলি?
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৪৪

মুম্বাই যাচ্ছেন শাকিব খান
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৫

আরো

সম্পর্কিত খবর