রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি
২৪ মার্চ ২০২১ ২২:৩৬ | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২১ ০৯:৪৮
মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী জোটের মুখপাত্র ডা. সাসা দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। খবর রয়টার্স।
বুধবার (২৪ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত পোস্টে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীও সেনাবাহিনীর চরম নিপীড়নের শিকার হয়েছে। তাদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।
মিয়ানমারের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, নৃশংসতা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সেনাবাহিনীর জেনারেলদের বিচারের মুখোমুখি না করা পর্যন্ত লড়াই চলবে, বলেন ডা. সাসা।
এই ডা. সাসা মিয়ানমারের একজন চিকিৎসক। ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের পর দেশটির যে কয়জন বেসামরিক নেতা গ্রেফতার এড়িয়ে আত্মগোপনে থেকে জান্তা সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেশটিতে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন তাদের মুখপাত্রের ভূমিকায় রয়েছেন ডা. সাসা।
এরই মধ্যে সেনাবাহিনী তার বিরুদ্ধেও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনেছে, তিনিও আত্মগোপনে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সন্ত্রাস দমনের নামে ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়। প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের ওপর ওই দমন-পীড়নকে জাতিসংঘ গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধ বলে বর্ণনা করেছে।
২০২০ সালে হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে এ নিয়ে মামলা হয়েছে এবং মামলার শুনানিও শুরু হয়েছে। শুনানিতে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেতা অং সান সু চি দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন। এখন সেই সেনাবাহিনীই সু চি সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করেছে এবং তাকে বন্দি করে রেখেছে।
এদিকে, মিয়ানমারে সেনাঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৭৫ বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে।
সারাবাংলা/একেএম