কুলসুমার সাজায় কারাগারে মিনু, নথি হাইকোর্টে
২৪ মার্চ ২০২১ ১৫:৩৯ | আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২১ ১৯:০২
ঢাকা: চট্টগ্রামে হত্যার দায়ে কুলসুমা আক্তার নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই দণ্ড ভোগ করছেন মিনু আক্তার নামে আরেক নারী। এমন অভিযোগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে হাইকোর্টে নথি পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। সেই নথি আজ (২৪ মার্চ) সর্বোচ্চ আদালতে পৌঁছেছে।
বুধবার (২৪ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ মামলার নথি পৌঁছানোর তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কে এম ফারুক হোসেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে উচ্চ আদালতে নথি পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভুঁঞা। আদালত মিনু আক্তার এবং চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপারের বক্তব্য শোনার পর এই আদেশ দেন। কারণ যে হত্যা মামলায় আসামি কুলসুমা আক্তারের সাজা হয়েছিল, সেই মামলার নথি এখন উচ্চ আদালতে। সেখানে আপিল আবেদন করেছে আসামিপক্ষ।
মঙ্গলবার বিচারকের খাসকামরায় জবানবন্দি দেওয়ার পর বের হয়ে সাংবাদিকদের মিনু আক্তার জানান, সন্তানদের খাওয়া-দাওয়া এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়ার নাম করে মর্জিনা আক্তার নামের এক নারী তাকে আদালতে নিয়ে এসেছিলেন। দারিদ্র্যের কারণে তিনি অন্যের হয়ে সাজা ভোগ করতে রাজি হয়েছিলেন।
জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর রহমতগঞ্জ এলাকায় ২০০৬ সালে এক নারীকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার শেষে আদালত কুলসুমাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। দণ্ডিত কুলসুমা চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার মাঝেরপাড়া গ্রামের আবু মিয়ার মেয়ে। তার স্বামীর নাম ছালেহ আহমদ। তিনি স্বামীর সঙ্গে রহমতগঞ্জে থাকতেন।
২০১৮ সালের ১২ জুন থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে কুলসুমার বদলে সাজা ভোগ করছেন মিনু আক্তার।
মিনু কুমিল্লার ময়নামতি এলাকার বাসিন্দা। প্রায় পাঁচ বছর আগে তার স্বামী মারা যান। এরপর তিনি সীতাকুণ্ড জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় বাস করতেন। তার দুই ছেলে সীতাকুণ্ডের একটি এতিমখানায় থাকে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমআই