‘অনুপ্রেরণাদায়ী’ শেখ হাসিনার ‘অনুরাগী’ বিদ্যা দেবী ভান্ডারি
২২ মার্চ ২০২১ ২২:৫৮ | আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২১ ১০:৫৯
ঢাকা: বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। তিনি বলেন, আপনি বিশ্বের দারুণ একজন অনুপ্রেরণাদায়ী নেতা। আমি আপনার অনুরাগী।
সোমবার (২২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে নেপালের প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
সাক্ষাতে বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অর্জন-অগ্রগতি ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উল্লখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। জাতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ রোল মডেল হতে পারে।
নেপালের প্রেসিডেন্ট সারের প্রয়োজনের সময় বাংলাদেশের তাৎক্ষণিক সহায়তা পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। নেপালকে বাংলাদেশের বন্দর সুবিধা ও সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করার প্রস্তাবের জন্যও ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, আমরা অর্থবহ সহযোগিতা চাই।
বাংলাদেশ ও নেপাল দুই দেশই প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরূপ প্রভাবের সম্মুখীন হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশই দুর্যোগ মোকাবিলায় নিজ নিজ সম্পদের সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে।
নেপালের প্রেসিডেন্ট নেপালি ভাষায় অনুদিত ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই দু’টি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোয় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রীয় আয়োজনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দিতে আসা নেপালের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সশয় মুক্তিযোদ্ধাদের নেপালের অস্ত্র সরবরাহসহ বিভিন্ন ধরনের সমর্থনের জন্য বিদ্যা দেবী ভান্ডারীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী নেপালকে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর এবং সৈয়দপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দেন। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতা ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সইয়ের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। পিটিএ চুক্তি দুই দেশের জন্য লাভজনক হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়া বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল) সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে এই অঞ্চলের বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে। বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতায় নেপালের পানিসম্পদ ব্যাবহার করে হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সাক্ষাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন নেপালের প্রেসিডেন্টের কন্যা উষা কিয়ান ভান্ডারি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গ্যেওয়ালি ও নেপাল একাডেমির চ্যাঞ্চেলর গঙ্গা প্রায়াদ উপ্রেতি।
সারাবাংলা/এনআর/টিআর
টপ নিউজ নেপালের প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যা দেবী ভান্ডারি সৌজন্য সাক্ষাৎ