কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি ২০ মে
২২ মার্চ ২০২১ ১২:২৪ | আপডেট: ২২ মার্চ ২০২১ ১৪:১৯
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৯ আসামির বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২০ মে ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (২২ মার্চ) কেরানীগঞ্জ কারাগারে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত ঢাকার অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-২ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক নজরুল ইসলাম আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট হান্নান ভূঁইয়া এ তথ্য জানান।
সময়ের আবেদন খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং করোনাভাইরাসের ঝুঁকি থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি বলে আইনজীবীরা উল্লেখ করেন।
মামলায় অভিযুক্ত আসামির সংখ্যা ১৩ জন। কিন্তু জামায়াত নেতা নিজামী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক ও এম কে আনোয়ার মারা যাওয়ায় এখন আসামির সংখ্যা ৯ জন।
খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।
কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
সারাবাংলা/এআই/একে
খালেদা জিয়া টপ নিউজ দুর্নীতি মামলা বড়পুকুরিয়া বিএনপি চেয়ারপারসন